সিবিএন:
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মইন উদ্দীন। কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে আইনের উপর গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

চৌকষ, মেধাবী ও দক্ষ একজন সংগঠক মইন উদ্দীন ছোটকাল থেকেই সমাজসেবা, মানবসেবামূলক কাজে অভ্যস্ত। ছুটে যান যে কোন সমস্যা সমাধানে।

সারাদেশে যখন করোনাভাইরাসের ধানকাটার লোক পাওয়া যাচ্ছিল না; হাজার হাজার একর পাকা ধান মাঠে পড়ে আছে, ঠিক তখনই কৃষকের ধান কেটে দেয়ার উদ্যোগ নেন মইন উদ্দিন।

সারাদেশে প্রথম গত ১৮ এপ্রিল সদর উপজেলার খুরুশকুলের কৃষক হাফেজ আহমেদের ধান কেটে দেন জেলা উপ-দপ্তর সম্পাদক মইন উদ্দীনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা। যেটি দলমত নির্বিশেষে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ইতিবাচক এই কর্মসূচির জন্য মইন উদ্দীনকে দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে শীর্ষস্থানীয় অনেকে সাধুবাদ জানায়।

সেদিন বিষয়টি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের নজরে আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হয়।

পরের দিন প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে ছাত্রলীগের ধান কাটার বিষয়টি তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সরকারের কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামিম এমপি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিষ্টার শাহ আলী ফরহাদ, উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, বিশিষ্ট ফটো সাংবাদিক ইয়াসিন কবির জয় ছাত্রনেতা মইন উদ্দীনের ধান কাটার বিষয়টি তুলে ধরেন নিজেদের ফেইসবুক স্ট্যাটাসে।

পরবর্তীতে সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধান কাটার কার্যক্রম শুরু করে দিলে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সারাদেশে ধান কাটার ছবি নিয়ে ভিডিও সম্বলিত পোস্ট করে উৎসাহিত করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।

এর আগে ১৮মার্চ কক্সবাজার শহরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতামূলক মাইকিং করেন এই ছাত্রনেতা। যেটি ছিলো করোনায় সারাদেশে ছাত্রলীগের প্রথম কর্মসূচী।

এরপর কেন্দ্রীয় নির্দেশে নিজেদের ফর্মূলা দিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেন ছাত্রনেতা মইন উদ্দীন। সেগুলো পুরো জেলায় বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।

এছাড়াও মুখের মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাবস, লিফলেট বিতরণ শহরে জীবানুনাশক স্প্রে দেয়াসহ নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছিলো মইন উদ্দীনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

পরবর্তীতে জেলায় নিম্ন আয়ের মানুষ সঙ্কটে পড়ে গেলে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ঘরে ঘরে ছুটে চলে তারা। ‘ত্রাণ নয় উপহার’ এই স্লোগান দিয়ে মধ্যবিত্তদের মাঝেও পৌঁছে দেয়া হয় ছাত্রলীগের খাদ্য সামগ্রী।

এছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝেও নানারকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি।

মানবতার কাজে ছুটে যাওয়া সম্ভাবনাময়ী ছাত্রনেতা মইন উদ্দীন এখন করোনায় আক্রান্ত। গত ২৮ মে তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর পর থেকে তিনি ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। রয়েছেন বাড়িতে। প্রথমদিকে জ্বর-কাশি থাকলেও তা এখন কমে গেছে। করোনার অন্যান্য উপসর্গ তেমন লক্ষ করা যাচ্ছে না। অনেকটা সুস্থতার পথে। পুরোপুরি সুস্থ হতে তিনি সবার দোয়া চেয়েছেন।

উল্লেখ্য, মইন উদ্দীন কক্সবাজার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড উত্তর নুনিয়া ছড়া (বিমানবন্দর) এলাকার মরহুম ছব্বির আহমেদের কনিষ্ট ছেলে।