শাহেদ মিজান, সিবিএন:

সুস্থ-সবল এবং কোনো ধরণের রোগই ছিলো না। রাত ৮টার দিকে হালকা জ্বর অনুভব করায় বন্ধুদের আড্ডা থেকে বাড়ি চলে যায়। রাতে খাবার খেয়ে ঘুমাতে গেলে জ্বর একটু বাড়ে। সে কথা মা-বাবা ও এক বন্ধুকে জানায় ঘুমানোর আগে। কিন্তু ‘হালকা’ জরর যে ছিলো মৃত্যুর ইঙ্গিত তা টের পাননি বিশ্ব বিদ্যালয় পড়ুয়া যুবক ওমর ফারুক মুশফিক। তাই রাতে যে কোনো সময় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সম্ভাবনামীয় এই যুবক। সকালে ঘুম থেকে না উঠায় ডাকতে গেলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মারা যাওয়া ওমর ফারুক মুশফিকের বন্ধু রুবেল হোসেন মিরাজ এই তথ্য জানান।

মৃত্যু বরণ করা ওমর ফারুক মুশফিক উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা সামসুল আলমের পুত্র এবং কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ১১ তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।

পরিবারের বরাত দিয়ে রুবেল হোসেন মিরাজ বলেন, ওমর ফারুক মুশফিক কোনো ধরণের রোগ-ব্যাধী ছিলো না। ছিলো সুস্থ ও স্বাভাবিক। সদা হাশিখুশি আর চঞ্চল থাকতো সে। বৃহস্পতিবার (২ ৮ মে) সন্ধ্যার দিকে পাড়ার এক জায়গায় আমরা কয়েকজন আড্ডা দিয়েছি। সে সময় মুশফিক একটু জ্বর আসার কথা জানিয়ে বাড়ি চলে যায়। ঘুমানোর আগে রাতে আরেক বন্ধুকে কল করে জ¦র বাড়ার কথা জানান। সকলে উঠে তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ‘থ’ হয়ে যাই সবাই!

টগবগে তরুণ ওমর ফারুক মুশফিকের আকস্মিক এমন মৃত্যুর ঘটনায় মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুমহল শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন। কেউ এমন মৃত্যুটি মেনে নিতে পারছেন না। এই মৃত্যু নিয়ে পুরো এলাকায় শোক বিরাজ করছে। আজ শনিবার (২৯ মে) সকাল ১১টায় সীমিত পরিসরে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।