বলরাম দাশ অনুপম ও ইফতেখার শাহজীদ :

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক খুন হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (২৮ মে) বিকাল চারটার দিকে উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের পেয়ারাকাটা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। নিহত যুবকের নাম জাহাঙ্গীর আলম (৩৩)। সে ওই গ্রামের দরদ উল্লাহর পুত্র। এসময় আহত হয় উভয় পক্ষের আরো ৮ জন। আহতদের কুতুবদিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

খবর নিয়ে জানা যায়, পেয়ারাকাটা একদল যু্বক লেমশীখালী আবুল্লার দোকান হতে ফুটবল খেলার কথা বলে একটি টেম্পু ভাড়া করে দ্বীপের পশ্চিমে সৈকতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিছু দূর আসার পর মনি মাঝির দোকানের সামনে সবাই নেমে যায়। এসময় পূর্বের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক দোকানদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয় তাদের। খবর পেয়ে ওই দোকানদারের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উভয় পক্ষের আরো অনেকেই জড়ো হতে থাকে সেখানে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের কথাকাটাকাটি সংঘর্ষে রূপ নিলে ঘটনাস্থলে নিহত হন জাহাঙ্গীর আলম।

তাদেরকে বহনকারী টেম্পু গাড়ির চালক জসিম উদ্দিন (১৮) জানান, মনি মাঝির দোকানের সামনে নামার পরপরই দোকানদারের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।

উভয় পক্ষের বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্বের একটি ‍তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ৮ জন হলেন, যথাক্রমে রুহুল কাদেরের ছেলে মামুনুর রশিদ (২২), মৃত মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে দরুদ উল্লাহ ও তার ছেলে সালামত উল্লাহ এবং সালামত উল্লাহর ছেলে মনজুর আলম, রেজাউল করিমের ছেলে সায়েম (১৮), ছাবের আহমদের ছেলে জুয়েল (২৫), নুর হুছাইনের ছেলে জাফর আলম (১৮) ও আবু বকরের ছেলে এরশাদুল করিম রিপন (২৮)। আহতরা সকলেই ওই ইউনিয়নের পেয়ারাকাটা এলাকার বাসিন্দা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্দদ দিদারুল ফেরদাউস বলেন, এতে জড়িত সন্দেহে নারীসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। কোন পক্ষ এখনো পর্যন্ত এজাহার জমা দেয়নি।