আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ৬ ফুট দূরত্ব যথেষ্ট নয়। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু পর থেকেই সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা প্রথম থেকেই লোকজনকে ৬ ফুট দূরত্বে অবস্থানের জন্য বলে আসছেন। তারা বলছেন, এভাবে দূরত্ব বজায় রাখলে করোনার সংক্রমণের গতি কমিয়ে আনা সম্ভব।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, সংক্রমণ রোধে ৬ ফুট দূরত্ব যথেষ্ট নয়। একই সঙ্গে তারা বলছেন যে, বাতাসের মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে। বিশ্বকে এ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত।

বিজ্ঞানভিত্তিক একটি জার্নালে সাম্প্রতিক সময়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই সামাজিক দূরত্ব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ।

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, উপসর্গহীন রোগীদের খুঁজে বের করতে প্রতিদিন ব্যাপকহারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন ওই বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সব পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত গাইডলাইনই যথেষ্ট নয়।

তাইওয়ানের ন্যাশনাল সান ইয়াত-সেন ইউনিভার্সিটির চিয়া ওয়াং এবং সান ডিয়েগোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার কিমবার্লি প্রাথার এবং ডা. রবার্ট স্কুলি জানিয়েছেন, নভেল করোনাভাইরাসের ওপর করা বেশ কিছু গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য থেকে এটা জানা যায় যে, নীরবে উপসর্গ ছাড়াই দ্রুত গতিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।

তারা বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত ছয় ফুট দূরত্ব অনেক ক্ষেত্রেই যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে, যেসব স্থানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জীবানুগুলো বাতাসে ভেসে থাকতে সক্ষম সেখানে ছয় ফুট দূরত্বে থাকলেও সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

ওই তিনজন রসায়ন এবং সংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞ। তারা বলছেন, আক্রান্ত রোগীদের নিঃশ্বাস ও কথা বলার সময় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং কয়েক ঘণ্টা বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। পরবর্তীতেতে এগুলো নাক-মুখ দিয়ে সহজেই ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে। সে কারণে লোকজনের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেও মুখে সব সময় মাস্ক পরে থাকাটা জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন তারা।