সিবিএন ডেস্ক:
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় করোনা সন্দেহে ছেলেরা ফেলে যাওয়ার পর মারা যাওয়া সেই বাবা করোনা নয়, ডায়াবেটিস ও অ্যাজমায় আক্রান্ত ছিলেন। চট্টগ্রামের মাঝিরহাট থেকে বস্তায় ভরে রফিক মুসুল্লী (৫০) নামে ওই ব্যক্তিকে চাটমোহরের গ্রামের বাড়িতে ফেলে রেখে চলে যায় তার দুই ছেলে। মঙ্গলবার (২৬ মে) ভোরে এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই ব্যক্তি মারা যান। এরপর বিকেল ৩টার দিকে গ্রামবাসী জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করে।

এদিকে বাবার প্রতি ছেলেদের এমন অমানবিক আচরণে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের বরদানগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের রফিক মুসুল্লী (৫০) চট্টগ্রামে তার দুই ছেলে রাসেল মুসুল্লী ও জাহিদ মুসুল্লীর কাছে থাকতেন। ঈদের দিন রফিক মুসুল্লী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তার দুই ছেলে তাকে বস্তায় ভরে একটি মাইক্রোবাসে করে গ্রামের বাড়িতে ফেলে রেখে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, করোনা সন্দেহে রফিক মুসুল্লীর দুই ছেলে বস্তবন্দী করে তাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়িতে ফেলে রেখে চলে যান। তবে তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। ডায়াবেটিস ও অ্যাজমার রোগী ছিলেন। এজন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।

উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জানান, অসুস্থতার কারণে রফিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। তারপরও ছেলেরা যে অমানবিক কাজটি করেছে তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।