-সিরাজুল কাদের

আর কত? এভাবেতো আমরা আমাদের জীবনের নিরাপত্তাকে সংকটে নিপতিত করতে পারিনা? বেশ কিছুদিন ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কীটগুলো আমাদের উখিয়া- টেকনাফের জনপদকে অপহরণের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে!
আমি একজন জাপান প্রবাসী, আজ জাপানে ঈদ খুব খুশি মনে ঈদ যাপন করার কথা এবং মোবাইল খুলেছি দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সজ্জনদের সবাইকে ঈদ উপলক্ষ্যে উইশ করব কিন্তু বিধি বাম মোবাইল খুলতে দেখি আমার টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের চাচাত ভাই আবদু রশিদ, পিতা: মিয়া হোছনকে গতকাল আনুমানিক রাত ১ টার সময় রোহিংগা ডাকাতেরা অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আমি সকল বাংলাদেশীদের মত রীতিমত মর্মাহত, ভীতশ্রদ্ধ হতবাক এবং শংকিত..!! এভাবে চলতে থাকলেতো অত্র জনপদের ভূমিপু্ত্রদের নির্বাসন অত্যাসন্ন। আমি মাঝেমধ্যে কক্সবাজার এর প্রথম অনলাইন পত্রিকা সিবিএন এ কলাম লিখি। গত ২০১৯ ইংরেজীর ১৮ই নভেম্বর “ জাপান থেকে বলছি: বর্তমান প্রেক্ষাপট, সততা, সমন্বয় এবং অগ্রগতি” শিরোনামের কলামে রোহিংগাদের ব্যাপারে বর্তমান পরিস্থিতি এবং জরুরী ভিত্তিতে করণীয় ইস্যুতে নিম্মোক্ত বিষয়গুলো আলোকপাত করেছিলাম। জানিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে কিনা? এখন আমাদের পিট দেয়ালে ঠেকে গেছে জরুরী ভিত্তিতে যথাযথ এ্যাকশন এবং সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রযণ্ত্রের সকল মহলের প্রতি সনির্বন্ধ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

– কলামের কিছু অংশ


– অপহৃত ছোট ভাইয়ের ছবি


– অন্যান্য এভিড্যান্সের ছবি যেখানে কুখ্যাত রোহিংগা অপহরণকারীরা কারো জন্য খাবার নিয়ে যাওয়ার ভান করে অপহরণের উদ্দেশ্যে এসেছিল।

রোহিঙ্গাদের পদভারিতে আজ কক্সবাজারের জনপদ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জনপদে পরিণত করেছে। মানবতার ভারে ক্লিষ্ট সবুজ অরণ্যবেষ্টিত দক্ষিন কক্সবাজার আজ হালের গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং ক্লাইমেট চেন্জের অন্যতম ভিক্টিম। অন্যদিকে আশ্রিত কিছু রোহিঙ্গাদের চলমান পরিস্থিতির Risk Analysis করলে যে চিত্র দৃশ্যমান হয় তাতে সার্বিক দিক দিয়ে স্থানীয় জনগোষ্টী অত্যসন্ন বিপদ এবং জনসংহারী রুপে জাগতে শুরু করা মনুষ্য সৃষ্ট ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং স্ফুলিংগের ঘুমোট আভার রশ্মিরেখা দেখতে পাচ্ছে যা ভয়াবহ আকারে বহুমূখী পরিণামে আবির্ভূত হবে যেটা বিশ্বব্যাপী Box office hit, Blockbuster Movie “Resident Evil “ এর মত T VIRUS একজন থেকে অন্যজনে সংক্রমিত হয়ে মনুষ্যের বিকৃত রুপ একজন আরেকজনকে গ্রাস করে এক ভূতুডে পরিবেশ সৃষ্টি করবে, যেখানে কেউ সুস্থ থাকার সুযোগ যেন মরীচিকা যতক্ষন না Anti Virus পুশ করা না হয়। যদিও এখনও সময় আছে যথাযথভাবে একে মোকাবেলা লগ্নে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিকল্পনামাফিক পদক্ষেপ নেওয়ার। Permanent and Sustainable Repatriation কে মেইন এবং কম্পলসারী ইন্ডিকেটর হিসেবে বেস করে সময়োচিত এবং দুরদর্শী পদক্ষেপই হবে সংক্রামক এই রোহিংগা ইস্যুর T Virus এর Anti Virus. অন্যথায় কি কুরুক্ষেত্র যে অপেক্ষা করছে তা বর্ণনাতীত!