হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী : 
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি  সড়কে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন চলাচলে চেকপোস্ট বসিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে পুলিশ। নিত্য প্রয়োজনীয় ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সরাসরি সব ধরনের চলাচল বন্ধ রয়েছে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে। সড়কের মহিষেরকুম ষ্টীল ব্রীজের সামনে চেক পোষ্ট বসিয়েছে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব, শপিংমল বন্ধ, মাক্স ব্যবহার নিশ্চিতে সমানতালে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের নিরত্বর প্রচেষ্টায় এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত রয়েছে গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন। তবে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বাড়ছে দুশ্চিন্তা।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত চৌকর্স পুলিশ পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান বলেন- করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির শুরু থেকে নির্ঘুমভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তার দল।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম-এর  নির্দেশে সড়কে কঠোর অবস্থানে যায় পুলিশ। এর মধ্যে গর্জনিয়া বাজারেও কড়াকড়িভাবে দ্বায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। পায়ে হেঁটে কেউ প্রবেশ করতে চাইলেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আবার কেউ বের হতে চাইলেও জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন। এছাড়া শুধু ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পরিবহন করা যানবাহন ছাড়া কোনো গাড়িকে প্রবেশ বা বাহির হতে দেওয়া হচ্ছে না। বাইরের থেকে আগত  গাড়িগুলো ঘুরিয়ে পুনরায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
পুলিশ পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস যেন না ছড়িয়ে পড়ে সেই দিক থেকে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। সোমবার ঈদ, এই ঈদে অনেকেই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করবেন। কিন্তু করোনার কারণে প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে যে যেখানে আছেন, সেখান থেকেই ঈদ উদযাপন করতে হবে। মূলত করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতেই আমরা ও আমাদের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চাচ্ছেন না এবার ঈদের ছুটিতে মানুষ গ্রামের বাড়িতে চলে আসুক। তাই আমরা মাঠে ২৪ ঘন্টা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।