এস. এম. তারেক :

কক্সবাজার সদরের জালালাবাদে জমি বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্য দিনে দুপুরে ২ শতাধিক ফলজ বৃক্ষ কেটে ফেলেছে মাদক ব্যবসায়ী রুস্তম ও তার সহযোগিরা । কাটা গাছগুলোর মধ্যে বেশীরভাগই সুপারি গাছ। জাম্বুরা ও পেয়ারা গাছও রয়েছে।

ওই সন্ত্রাসীরা ভেঙ্গে দিয়েছে সদ্যনির্মিত বাথরুমসহ বসতঘরের অন্যান্য স্থাপনা। গাছ কাটতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করায় পিটিয়ে আহত করেছে জয়নালের স্ত্রী খালেদা বেগম ও তার মাদ্রাসা পড়ুয়া যুবতী মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউসকে।

১৮ মে সকাল ১০ টায় ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ লরাবাগ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ইয়াবা ব্যবসায়ী ও এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রুস্তম আলীর নেতৃত্বে তার ভাই নুর মোহাম্মদ এবং পিতা আবদু সাত্তার প্রকাশ জাল মিন্টু ঘটনার সাথে জড়িত বলে জানায় এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগী জয়নাল ।

ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এ ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযাোগ দায়ের করা হয়েছে। যা তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই নিজাম উদ্দিনের নিকট তদন্তাধীন। ইতিমধ্যে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি জানান, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওযা গেছে।

এদিকে ভূক্তভোগী জয়নাল জানান, আজীবন তিনি তাঁর পৈত্রিক ভিটে মাটিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে অাসছেন। হঠাৎ করে তার ভিটির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে আবদু সত্তার ওরফে জাল মিন্টুর। তারই ধারাবাহিকতায় জাল মিন্টুর মাদক ব্যবসায়ী পুত্র ও বহু মামলার আসামী রুস্তম আলীর নেতৃত্বে তার ভাই নুর মোহাম্মদ ও জাল মিন্টু নিজে ভূক্তভোগী জয়নালের বাগান থেকে প্রায় সময় সুপারি, জাম্বুরা ও পেয়ারা পেড়ে জোর করে নিয়ে আসে।

বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেই নেমে আসে তিনিসহ স্ত্রী কন্যার উপর অমানুষিক নির্যাতন। এভাবে বছরের পর বছর ধরে জয়নাল ও তার পরিবার পরিজনের উপর অনেকবার নির্যাতন চালিয়েছে রুস্তম বাহিনী। জয়নালের স্ত্রী খালেদা জানান, এবারের আগেরবার নির্যাতন চালিয়ে তার মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউসের হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে দেয় রুস্তম ও তার ভাই নুর মোহাম্মদ। যে কারনে গেলবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি জান্নাতুল।

ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জালালাবাদের ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদের শরণাপন্ন হলে তিনি বিরোধ মিমাংসার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়েছেন কিন্ত রুস্তম বাহিনীর অসহযোগিতার কারনে তিনি তা পেরে উঠেননি। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ জয়নাল ও তার পরিবারের উপর রুস্তম বহিনীর নির্যাতনের বিষয়টি সত্য বলে জানান। কক্সবাজার সদর মডেল থানায় রুস্তমের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন ও মারামারির মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

যার নং যথাক্রমে – জিআর ৭৯। তারিখ ২৮ /০৩/২০১৮ এবং মামলা নং ৯০ তারিখ: ২৫/০২/২০২০। এছাড়া এলাকায় মাদক বেচাকেনার সময় পুলিশ তাকে হাতেনাতে ধরে জেল হাজতেও পাঠিয়েছিল।

অনেকদিন জেল খেটে পরে ছাড়া পায়। ভূক্তভোগী জয়নাল ক্ষোভের সাথে বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না পেলে তিনি ও পরিবার আত্মহননের মত কঠিন পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন। এদিকে গাছ কাটা ও মা মেয়েকে শারিরীকভাবে নির্যাতনের বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত রুস্তম। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা ভূক্তভোগী জয়নাল জেলা পুলিশ সুপারের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।