সিবিএন ডেস্ক:
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকলেও আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে শহর থেকে গ্রামমুখী মানুষের ভিড় নামার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেছেন, যে যেখানে আছেন, সেখানেই অবস্থান করুন। শহর থেকে গ্রামের দিকে যাবেন না। যে প্রিয় আত্মীয়-পরিজনের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য আপনি শহর ছেড়ে গ্রামে যেতে চাচ্ছেন, আপনার কারণে সেই প্রিয়জন যেন ঝুঁকিতে না পড়ে।

শুক্রবার (২২ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিন উপস্থাপনকালে ডা. নাসিমা এ কথা বলেন।

অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, করোনার কারণে যে যুদ্ধাবস্থা চলছে, তার বিরুদ্ধে সবাইকে যুদ্ধের মানসিকতা রাখতে হবে। লড়াইয়ের মানসিকতা রাখতে হবে।

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জনসাধারণ তথা আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের মনে রাখতে হবে, আপনাদের জন্য কাজ করে গিয়ে অনেক চিকিৎসক, নার্স বা ফার্মাসিস্ট, টেকনোলজিস্ট, গাড়িচালক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী অসুস্থ হয়েছেন; আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, প্রশাসনের সদস্য, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ অনেকেই অসুস্থ হয়েছেন এবং অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। অনুগ্রহ করে আপনারা সহযোগিতা করুন। সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে চলুন। চলাচল বন্ধ করুন। নিজে সুস্থ থাকুন, প্রিয়জনকে সুস্থ রাখুন।

বুলেটিনে ডা. নাসিমা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নয় হাজার ৯৯৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় নয় হাজার ৭২৭টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ২৩ হাজার ৮৪১টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৬৯৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ২০৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২৪ জন, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৩২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৮৮ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় হাজার ১৯০ জনে।

করোনার বিস্তাররোধে সরকারি সাধারণ ছুটির পাশাপাশি গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও গত বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ঈদযাত্রা করা যাবে। তারপর শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা থেকে গ্রামমুখী মানুষের ভিড় বাড়ে সায়েদাবাদ-গাবতলীসহ টার্মিনালগুলোতে।