এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের এইসময়ে ঘনিয়ে আসা পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে চকরিয়া উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে এবার চকরিয়া থানা পুলিশের উদ্যোগে ১৫টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। কক্সবাজারের জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন এর নির্দেশে সিনিয়র সহকারি পুলিশ পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মতিউল ইসলাম এবং চকরিয়া থানার ওসি মো.হাবিবুর রহমান সর্বসাধারণকে উল্লেখিত নির্দেশনা সমুহ প্রতিপালনের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন। শুক্রবার ২২ মে রাতে ওসির ফেসবুক ফেইজে চকরিয়াবাসির উদ্দেশ্যে এই নির্দেশিকা তুলে ধরা হয়েছে।

নির্দেশিকার শিরোভাগে তুলে ধরা হয়েছে এভাবে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চকরিয়া থানা এলাকায় জনসাধারনের প্রতি অনুরোধঃ- (১) আপনারা যে যেখানে আছেন সেখানে অবস্থান করবেন।কোন অবস্থাতেই স্থান পরিবর্তন করা যাবে না।এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে, এক উপজেলা হতে অন্য উপজেলা এবং এক জেলা হতে অন্য জেলায় যাওয়া যাবে না। (২) ক্রেতাগন অবশ্যই বাজারে গেলে মাস্ক পরে যেতে হবে।দোকানদারগন সামজিক/শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। দোকানদারকে অবশ্যই মাস্ক/হ্যান্ড গ্লাভস/হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার ও জীবানুনাশক স্প্রে দোকানে রাখাতে হবে। (৩) ঈদের নামাজ প্রত্যেক মসজিদে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পড়বেন।একই মসজিদে প্রয়োজনে ৩/৪টি জামায়াত করে মসজিদে নামাজ আদায় করবেন। ঈদগাহে ঈদের জামায়াত পড়া যাবেনা। (৪) বেচে থাকলে অনেকবার ঈদ করা যাবে। এটা যেন শেষ ঈদ না হয়। জনসামাগম করে ঈদ জামায়াত পরিহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামায়াতে অংশগ্রহন করতে হবে। (৫) আপনি আপনার পরিবারের কাছে একটি পৃথিবী।সুতরাং এমন কোন দায়ত্বহীন সিন্ধান্ত নিবেন না যাহাতে আপনার প্রিয় সন্তান, স্ত্রী, মা-বাবা, আতœীয় স্বজন একটি পৃথিবী হারিয়ে ফেলে। (৬) ঈদ উদযাপন করার জন্য আপনি আপনার বর্তমান স্থান ত্যাগ করলে নিজেই পরিবার ও সমাজের জন্য ঝুঁকি হয়ে যাবেন। ইহাতে নিজ পরিবারের লোকজনের করোনা ঝুকি বেড়ে যাবে। (৭) পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে অলিগলি রাস্তা ব্যবহার করে স্থান ত্যাগ করে নিজ এবং নিজ পরিবারের করোনা ঝুঁকি বাড়াবেন না। আপনার মঙ্গলের জন্যই বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। (৮) মসজিদে প্রবেশ পথে জীবনুনাশক চেম্বার বা ট্যানেল স্থাপন করে আগত মুসল্লিদের জীবানু মুক্ত করে মসজিদে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে। (৯) ঈদের জামায়াত শেষ হওয়ার সাথে সাথে মসজিদ ত্যাগ করতে হবে।কোন ভাবেই হ্যান্ড সেক বা কোলাকোলি করবেন না। (১০) মসজিদে যাওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক, হ্যান্ড গ্ল্যাভস ব্যবহার করতে হবে। (১১) মসজিদে যাওয়ার সময় প্রত্যেক মুসল্লি নামাজের ব্যবহারের জন্য ব্যক্তিগত জায়নামাজ নিয়ে যাবে মসজিদের কার্পেট ব্যবহার করা যাবে না। (১২) স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারী নির্দেশনা না মেনে আবেগের তাড়নায় ঈদ যাত্রায় সামিল হয়ে আমরা যেন ভাইরাস সংক্রমিত না হই। (১৩) ঈদ উদযাপনে সরকারী নির্দেশনা মেনে চলা নাগরিক হিসাবে আমাদের প্রত্যেকের পবিত্র দায়িত্ব। চলুন সরকারী নিদেশনা মেনে চলে সুনাগরিকের পরিচয় দিই। (১৪) হাচি, কাশি, জ্বর গলা ব্যাথা থাকলে ঈদের জামায়াতে যাওয়া যাবে না। (১৫) প্রত্যেক মসজিদে একাধিক ইমাম নিয়োজিত করবেন। সর্বশেষে বাংলাদেশ পুলিশ আপনাদের সেবায় নিয়োজিত আছে এবং থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ওসি মো.হাবিবুর রহমান।