সিবিএন ডেস্ক:
সারাদেশের পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে৷

বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দেন৷ প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়৷

এতে বলা হয়, পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে ত্রাণ তহবিল থেকে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের ৩২৮টি পৌরসভার ১২ হাজার ৫শ ১৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগকৃত আরো ২০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী এ সুবিধার আওতায় আসবেন।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছুটি চলছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ৩২৮টি পৌরসভা তাদের সীমিত সম্পদ নিয়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে পৌর এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, বিদেশ প্রত্যাগতদের কোয়ারেন্টিন ও জনসাধারণের নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, করোনা প্রতিরোধে মাস্ক বিতরণ, জীবাণুনাশক স্প্রেকরণ, মৃত ব্যক্তির মরদেহ দাফন, কর্মহীন মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে পৌর কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি বর্তমানে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশা দমনে তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

জানা গেছে, পৌরসভার রাজস্ব আদায় সন্তোষজনক পর্যায়ে না থাকায় অধিকাংশ পৌরসভার বেতন-ভাতা বকেয়া ছিলো। তা নিরসনের জন্য পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে আসছিলেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম পৌরসভার আয় বৃদ্ধির বিষয়ে এবং বেতন-ভাতা পরিশোধে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করায় রাজস্ব আদায়ের হার আগের তুলনায় বৃদ্ধি পায়। এতে ১৩০টি পৌরসভা নিয়মিত বেতন-ভাতা দিতে সক্ষমতা অর্জন করে। পৌরসভা তাদের সক্ষমতা অর্জনের সঙ্গে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধে সচেষ্ট ছিলো। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে পৌরসভার নিয়মিত রাজস্ব আদায়ের খাত হেল্ডিং ট্যাক্স,ট্রেড লাইসেন্স, হাট-বাজারের ইজারা প্রদান দোকানভাড়াসহ সব ধরনের রাজস্ব আয় প্রায় দুইমাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রায় সব পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান দুরূহ হয়ে পড়েছে।

বেতন না পেয়ে দুই মাস পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করেছেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর এলে তিনি ২৫ কোটি অনুদান দেন।