এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মঙ্গলবার মধ্য রাতের পর থেকে বাংলাদেশের খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী উপকূল দিয়ে অতিক্রম করবে। এজন্য মোংলা ও পায়রাকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় জনপদে মাঠ তদারকিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সিপিপি টিমের সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা সিপিপির টিম লিডার মো.নুরুল আবছার।

চকরিয়া উপজেলা সিপিপির টিম লিডার মো.নুরুল আবছার বলেন, আবহাওয়া বিভাগের তথ্যমতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মঙ্গলবার মধ্য রাতের পর থেকে বাংলাদেশের খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী উপকূল দিয়ে অতিক্রম করবে। এজন্য মোংলা ও পায়রাকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় ইউনিয়ন বদরখালী, পশ্চিম বড়ভেওলা, বিএমচর, কোনাখালী, ঢেমুশিয়া ও পুর্ববড় ভেওলা এলাকায় মাঠ তদারকিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সিপিপি টিমের সদস্যরা। চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকর্তাদের নির্দেশার আলোকে সিপিপি টিমের প্রতিটি সদস্যরা সোমবার থেকে উপকুলীয় প্রতিটি এলাকায় সর্তক বার্তা জারি করেছেন। স্থানীয় জনগনকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় উদ্বুদ্ধ করছেন। বিভিন্ন এলাকায় লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সিপিপির পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন কমিটির টিম লিডার ফজলুল কাদের বলেন, তাঁরা চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকর্তাদের নির্দেশনার আলোকে সোমবার থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় প্রস্তুতি হিসেবে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় জনপদে কাজ শুরু করেছেন। জনগনকে উদ্বুদ্ধ করণে মাইকিং করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন পয়েন্টে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সর্তকতা জারী করছেন।