এম.মনছুর আলম,চকরিয়া :
প্রবল বেগেই ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। সৃষ্ট এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে ব্যাপক প্রস্তুতি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ ক্রমশই এগিয়ে আসছে উপকূলের দিকে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আঘাত হানার আগে ও পরে করণীয় নিয়ে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার সন্ধ্যায় ইউএনও’র কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সামসুল তাবরীজের সভাপতিত্বে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলার বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর পাশাপাশি প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের ঘূর্ণিঝড় ব্যাপারে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবেলায় সাইক্লোন শেল্টার গুলোকে প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়। সাইক্লোন ছাড়াও সব স্কুল-কলেজগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুতির নির্দেশনা দেয়া হয়। অপর দিকে দুর্যোগ মোকাবেলায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করার লক্ষে সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্কাউটদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুতি রয়েছে বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল টিমও। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ বিচ্ছিন্ন এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া বোটের মাঝি ও বোট মালিকদের বোট নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতা মাইকিং করেছে। বর্তমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে যে সব পরিবার সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেবে তাদের প্রতিটি পরিবারকে সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সাইক্লোন শেল্টারগুলোকেও নির্দেশনা দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যারা সাপ্তাহিক ছুটিতে বাড়িতে অবস্থান করছেন তাদের দ্রুত ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান