মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি :
অবশেষে নাইক্ষ্যংছড়ির সাংবাদিকদের পাশে দাড়াঁলেন বান্দরবান জেলা পরিষদ ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ। শনিবার সন্ধায় উপজেলা চেয়ারম্যানের র্কাযালয়ে উপজেলা প্রেস ক্লাবের সকল সাংবাদিককে ঈদ উপহার ও করোনা সামগ্রী তুলে দেন এ দু’প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি যথাক্রমে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিউল্লাহ ও জেলা পরিষদ সদস্য ক্যনু ওয়ান চাক।
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল হামিদ জানান,করোনা সংকটে সীমান্ত উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির ১৭ সাংবাদিক নানা সমস্যায় ছিলো। এ নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লিখেন ক্লাবের কর্ণধার ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন খালেদ। এছাড়া এ উপজেলা এক-তো পাহাড়ি জনপদ,অপর দিকে মিয়ানমার সীমান্ত। আর সারা দেশের ন্যায় এ উপজেলা করোনা লকডাউনের আওতাতে স্থিতিমান থাকায় সাংবাদিকরা পড়ে যায় বেকায়দায়। এ অবস্থায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সার্বক্ষণিক সাহস দিয়ে আসছিলো এ সাংবাদিকদেরকে। সর্বশেষ ঈদকে সামনে রেখে বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা র্মামাও দাড়ালেন এসব সাাংবাদিকদের পাশে। এতে সবাই এ দু’প্রতিষ্ঠানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আন্তররিকভাবে।
প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি-সিনিয়র সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন খালেদ বলেন,জীবনবাজি রেখে সাংবাদিকরা মাঠে আছেন। কাজ করছেন। অন্যরা হোম বাসা-বাড়িতে থাকলেও সাংবাদিকরা জীবন ঝুঁকিতে মাঠে আছেন। এরই মাঝে অপবাদের বোঝাও থাকে তাদের মাথার উপর। বন্ধু পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে তখন।
তিনি আরো বলেন,এ দূ:সময়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের বন্ধু নেই এ প্রবাদ টি অনেকাংশে ব্যতিক্রম প্রমান করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ির বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান। তিনি করোনা দূর্যোগে সাংবাদিকদের খোঁজ-খবর রেখেছেন-সাহস জুগিয়েছেন অভিভাবক সূলভ। এভাবে তিনি এ উপজেলার সাংবাদিকদের পাশে আছেন বিগত ২৫ বছর ধরে। সেই ২৫ বছর আগেই ক্লাবের জন্যে মূল্যবান জমিও দান করে তিনি। পাশাপাশি পার্বত্যমন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং-ও প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ ক্লাবের প্রতি সুদৃষ্টি দিয়ে আসছিলেন। আর বর্তমানে তারই ( মন্ত্রীর বীর বাহাদুর) সহায়তায় বান্দরবান জেলা পরিষদ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ক্লাবের জন্যে ভবন র্নিমান করে দেন। তিনি আরো বলেন, এরই মাঝে করোনার এ কঠিন বিপদ মূর্হুতেও সাংবাদিকদের লিখনিতে বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রদেয় সাংবাদিক প্রণোদনা-ঈদ উপহার গ্রহন করেন তারই ( উপজেলা চেয়ারম্যামের) হাত ধরে।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: শফিউল্লাহ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন,
সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তাদের লিখনিতে দেশ এতো এগিয়ে। বিশেষ করে কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতেও তারা জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন। তাদের অবদান ভূলবার নয়।
তিনি বলেন,মানুষ ভাবে নিজের লাভের কথা আর তিনি আত্মঘাতি কাজ করেন। ক্ষতি হবে ভেবেও সাংবাদিকদের এ কাতারে নিয়ে এনেছেন। সব করে যা্েচ্ছন। আরো করবেন। লাভ-ক্ষতি দেখেন না তিনি। এক পর্যায়ে তিনি বলেন,অসুন্দর নয়,সুন্দরের দিকে এগিয়ে আসলে দেশের মঙ্গল হয়। ্আর সকলের মতামতকে প্রধান্য দিয়ে এ ক্লাব এগিয়ে যাক এ-তার কামনা। তিনি বিবেদ নয় ঐক্য চান সব সময়। আর যারা বিবেদ সৃষ্টি করে তারা টিকে থাকে না। তিনি সকলকে দেশের কল্যাণে কাজ করতে উধাত্ত আহবান জানান। এছাড়া দেশরত্ম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,জেলার মন্ত্রী বীর বাহাদুর ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৈশহ্লা’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি ।
এ সময় ক্লাবের সদস্য মুিফজুর রহমান ও একমাত্র নারী সদস্য সানজিদা আক্তার রুনা সহ কয়েকজন সদস্য বলেন,ক্লাবের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে প্রায় দেড় বছর আগে। ২ বছরের কমিটি এখন চলছে ৩ বছর ৬ মাস। সত্তর নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন তারা। সাথে সাথে উপস্থিত ১৬ সাংবাদিক সকলে এ প্রস্তাব সর্মথন করেন। তারা আগের মতো দ্রুত নতুন কমিটি গঠনের ব্যবস্থা নিতে ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: শফিউল্লাহ প্রতি আহবান জানান।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী তফাজ্জল হোসেন,সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুলএ আবছার,সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম,প্রভাষক আক্তার কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক ইফসান খান ইমন,আমিনূল ইসলাম,আবুল বশর নয়ন, জাহাঙ্গির আলম কাজল,,জয়নাল আবেদীন টুক্কু,আবদুর রশিদ,হাফিজুল ইসলাম,মাহমদুল হক বাহাদুর,মোহাম্মদ তৈয়ব উল্লাহ, মোহাম্মদ ইউনুছ ও এম আবু শাহমা।