মদ ব্যবসায়ী থেকে ইয়াবা কারবারি আবদুর রহমান ধরাছোঁয়ার বাইরে শিরোনামে গত ১৫ মে বরিশাল থেকে প্রকাশিত বরিশাল কাগজ ও গাজীপুর টঙ্গী থেকে প্রকাশিত প্রজন্মকণ্ঠ অনলাইন নিউজ ফোল্ডারে আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ ছাপানো হয়েছে তাহা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে, সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও অসত্য, যাহা শাক দিয়ে মাছ ডাকার অপচেষ্টা মাত্র। আসল কথা হল আমি একজন হতদরিদ্র অসহায় কৃষক পরিবারের ছেলে, আমি সিএনজি গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি, ১০ বছর ধরে রামু সিএনজি মালিক সমিতির সঙ্গে জড়িত এই সুবাদে মালিক সমিতির পক্ষ থেকে আমাকে রামু চৌমুহনীতে লাইনম্যান হিসাবে নিয়োগ দে, আমি সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসতেছি, দীর্ঘদিন ধরে সিএনজি গাড়ি চালিয়ে কিছু জমানো অর্থ ও আত্মীয় স্বজন থেকে কিছু টাকা হাওলাত নিয়ে আমার ছোট ভাই হাবিবসহ দুই জন মিলে পার্টনারশিপে রামু চৌমুহনীতে হাজী কমপ্লেক্সের পছন্দ ষ্টোরের মালিক থেকে দোকান টি উপভাড়া নিয়ে অল্প মালামাল দিয়ে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসতেছি। আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয় কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের বইলতলা এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মঞ্জুর আলম সোহেল প্রকাশ নেতা মঞ্জুরের সাথে আমার আত্মীয়তার সুবাদে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত সম্পর্ক ছিল ও আমার সাথে চলাফিরা করত, মঞ্জুরের সাথে আমার বন্ধুতের সুবাদে বিভিন্ন সময় আমার দোকানে এসে আমি এবং আমার ভাইয়ের কাছ থেকে বাকীতে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় এবং নগদে ২০ হাজার টাকা আমার কাছ থেকে হাওলাত ও নে, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারনে সরকারের নির্দেশনায় আমাদের দোকানপাট বন্ধ , এবং গাড়ি বন্ধ হওয়ার কারনে আমরা পারিবারিক ভাবে আর্থিকভাবে সমস্যায় পড়ি এবং পারিবারিক ভাবে অনেক কষ্টে আছি, সম্প্রীতি আমার হাওলাতি ২০ হাজার টাকা ,ও দোকানের বাকি টাকা গুলি নেতা মঞ্জুরকে পরিশোধ করার জন্য বলিলে নেতা মঞ্জুর আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালমন্দ করে,বিভিন্ন সময় মোবাইলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে রামু থেকে কাউয়ারখোপ হয় তুই কচ্ছপিয়া গেলে তুর হাত পা কেটে টুকরো টুকরো করে বাঁকখালী নদীতে পেলে দেব, তুই আমার কাছ থেকে কোন টাকা পাবিনা, এভাবে প্রকাশ্য হুমকি দে নেতা মঞ্জুর, বর্তমানে আমি জীবন নিয়ে শঙ্কিত আছি। এই ব্যাপারে আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। নেতা মঞ্জুরের সাথে পাওনা টাকা নিয়ে আমার বিরুদ্ধ সৃষ্টি হলে সংবাদকর্মী ভাইদেরকে আমার বিরুদ্ধে ইয়াবা ও মদের ব্যবসা করি মর্মে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সামাজিক ও ব্যবসায়িক ভাবে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা সংবাদ টি পরিবেশন করে, উক্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সাংবাদে উল্লেখ করেছে আমি কয়েকবার বান্দরবানের বিজিবি ও পুলিশের হাতে আটক হয়েছি এবং অনেক মাদক মামলার আসামি, যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, আমি কোন দিন প্রশাসনের হাতে আটক হয়নি, আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই,সাংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে আমার সহযোগী নিরু ও খেলু মার্মা। অথচ তাদের সাথে আমার কোন পরিচয়ও নাই, আমার বক্তব্য নেওয়ার কথা সংবাদে উল্লেখ করেছে, আমি প্রতিবেদককে আপোষের কথা বলছি এবং নেতার প্রভাব দেখিয়েছি , যাহা শাক দিয়ে মাছ ডাকার অপচেষ্টা মাত্র। সাংবাদিক হল জাতির বিবেক, আমার কোন বক্তব্য নেওয়া হয়নি,এবং সাংবাদিক ভাইদের সাথে কোন কথা হয়নি, সরেজমিন পরিদর্শন না করে নেতা মঞ্জুরের কথায় সাংবাদিক ভাইয়েরা উৎসাহিত হয়ে বরিশাল ও গাজীপুরে দুই টি অনলাইন নিউজ ফোল্ডারে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আমি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি, ভবিষ্যতে যাচাই-বাছাই করে নিউজ করার জন্য সংবাদকর্মী ভাইদের শুভবুদ্ধির পরিচয় দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি, উক্ত মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য প্রশাসন ও সচেতন মহলকে অনুরোধ জানাচ্ছি। মাদকের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে আমিও দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল,মাদকের মত এ জঘন্য ব্যবসাটিকে আমি ঘৃণার চোখে দেখি , আমি কোনদিন ধূমপান পর্যন্ত করি নাই, যদি আমি কোন দিন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকি প্রমাণ পেলে আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
আবদু রহমান
পিতা মোহাম্মদ জামাল
ফাক্রিকাটা ৫ নং ওয়ার্ড কচ্ছপিয়া রামু
লাইনম্যান রামু সিএনজি মালিক সমিতি
ব্যবস্থাপনা পরিচালক পছন্দ ষ্টোর
রামু চৌমুহনী হাজী কমপ্লেক্সে।