রামু প্রতিনিধি:
রামুতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বসত ঘর ও দোকানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ঘটেছে। এতে ২ জন আহত হয়েছেন। রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি হাসপাতাল পাড়া এলাকায় গত ১৩ ও ১৪ মে এসব হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে আহতরা হলেন, ওই এলাকার সুনামদর্শী বড়ুয়ার স্ত্রী রুজি বড়ুয়া ও ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাইটুপী গ্রামের সন্তোষ বড়ুয়ার ছেলে রোজন বড়ুয়া।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স। এ ঘটনায় রামু থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন হামলার শিকার রুজি বড়ুয়া।
লিখিত এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, রুজি বড়ুয়ার স্বামী সুনামদর্শী বড়ুয়া চট্টগ্রামের রাউজানে রাগানে চাকরি করেন। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে গত ১৩ মে রাতে স্থানীয় একটি ভূমিগ্রাসী চক্র ওইদিন রাতে পরিকল্পিতভাবে তার বসত ঘরে হামলা চালায়। হামলায় নেতৃত্ব দেন, শুধাংশু বড়ুয়া পুতুইন্নার ছেলে সুকুমার বড়ুয়া ও রতন বড়ুয়া রুপ, সুকুমার বড়ুয়ার স্ত্রী মৃদুলা বড়ুয়া ও ছেলে সজীব বড়ুয়া।
গৃহবধু রুজি বড়ুয়া জানান, হামলাকারীরা তার বসত ঘর ও সামনের দোকান ভাংচুর করে। এতে তার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিষয়টি অবহিত করলে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসেন। হামলাকারীরা চেয়ারম্যানের সামনেই তাদের হামলা, মারধর ও প্রাণনাশের হুমকী দেন।
ইউপি চেয়ারম্যানের পরামর্শে ১৪ মে দুপুরে ভাই রোজন বড়ুয়াকে নিয়ে থানায় এজাহার দিতে যাচ্ছিলেন রুজি বড়ুয়া। পথিমধ্যে উত্তর মিঠাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে পূর্বে দোকান ও বসত ঘরে হামলাকারিরা তাদের দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মারধর শুরু করে। এসময় হামলাকারিরা রোজন বড়ুয়াকে রড় দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এসময় ভাইকে বাঁচাতে চাইলে হামলাকারিরা তাকেও মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। হামলাকারিরা তাদের হাতে থাকা ২টি মুঠোফোন সেট সহ সর্বস্ব লুট করে নেয়। এ ঘটনায় থানা পুলিশের হস্তপেক্ষ কামনা করেছে ভুক্তভোগী রুজি বড়ুয়ার পরিবার। তারা দফায় দফায় হামলা ও ভাংচুরে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।