হারুনর রশিদ, মহেশখালী:

মাতারবাড়ী ১২শ ওয়াট ইউ,এস,সি, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার / উপ-ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সমূহের বিশেষ উদ্যোগে, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা এলাকার দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রান বিতরন কার্যক্রম পরিচালিত করা হয়েছে।

ত্রান প্রদানকারী বৈদেশিক প্রতিষ্ঠান গুলো হচ্ছে সুমিতমো কর্পোরেশন, পেন্টা ওশেন কর্পোরেশন, আই এইচ আই, তোশিবা, পোস্কো ইঞ্জিনিয়ারিং কস্নট্রাকশন চলমান ও ক্রমবর্ধমান মহামারি পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান সমূহ কয়েকটি ধাপে ত্রান বিতরন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে।

সেই লক্ষ্যে শুক্রবার ১৫ই মে দুপুরে প্রথম ধাপে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গুলোর পক্ষ হতে সুমিতমো কর্পোরেশনের প্রকল্প পরিচালক মিঃ ইসাও নাকামুরা (জাপান), কক্সবাজার-০২ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এর নিকট ২০ মেট্রিক টন চাল হস্তান্তর করেন। হস্তান্তরের পর উক্ত ত্রান সমূহ মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এবং মাতারবাড়ী হাইস্কুল মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়।

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্বের কথা বিবেচনা রেখে এই ত্রান হস্তান্তর / বিতরন কর্মসূচী খুবই সাদাসিধে ভাবে আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে মাননীয় সংসদ সদস্য ব্যতীত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জামিরুল ইসলাম,মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর, স্থানীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ,জেলা পরিষদের সদস্য মোশারফা জন্নাত,জেলা পরিষদের সদস্য মাষ্টার রুহুল আমিন,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু হায়দার ,পরিষদের সচিব, মেম্বার এবং স্থানীয় ২/৩ জন জ্যাষ্ঠ নেতৃবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

পরবর্তীতে, দ্বিতীয় ধাপে ধলঘাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বিদেশী প্রতিষ্ঠান সমূহ ত্রাণ বিতরণ করবে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে আরো ২০ মেট্রিক টন চাল, ত্রান হিসেবে প্রদান করে হবে বলে জানা যায়। ঠিকাদার কোম্পানী সমূহ মাননীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে প্রদানকৃত ত্রান সঠিকভাবে বিতরন হবে বলে আশা রাখেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্যোগ পরিস্থিতিতে সাধ্যমত এলাকাবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্টান গুলি থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মাতারবাড়ীর কর্মহীনদের মাঝে বিতরণ কালে আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন- আপনার কোন দুর্যোগ কে ভয় পাবেন না,সতর্কতার সাথে ধর্য্যধরে দুর্যোগ মোকাবেলা হরতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারী জনবান্ধব সরকার। দেশে প্রচুর খাদ্য মজুদ রয়েছে,এবং খাদ্য ছাড়াও নগদ টাকা অসহায়দের মাঝে বিতরণ শুরু করেছে সরকার। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্টান, সমাজের বৃত্তবানরা এগিয়ে এসেছে। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার দিন থেকে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কর্মহীনদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে সরকারী খাদ্য সহায়তা বিতরণ তদারকির মাধ্যমে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেন এমপি।