চবি প্রতিনিধি :

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি বন্ধ হয়েছে মেসও। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে গেছে। তবে মেস বন্ধ থাকলেও ভাড়া ঠিকই দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এতে বিপাকে পড়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। তাদের জন্য মাত্র ১২টি আবাসিক হল রয়েছে।তবে হলগুলোতে সকল শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধা পায় না।হল সংকটের কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের আশেপাশে এবং চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন মেসে ভাড়া থাকেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান । তাদের অনেকেই টিউশন করে নিজ খরচ বহন করেন, মেস ভাড়া দেন। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের সেই আয়ের উৎস বন্ধ রয়েছে। ফলে বিপদে পড়েছেন তারা।

অন্যদিকে মেস মালিকেরা বার বার তাদের কাছে ফোন দিয়ে মেসের ভাড়া চাচ্ছেন। টাকা দিতে না পারলে মেস ছেড়ে দেবার হুমকিও দিচ্ছেন অনেকে। ফলে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।

ষোলশহর এলাকায় মেস ভাড়া করে থাকা কলা ও মানবিক অনুষদের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মেস মালিক প্রতিনিয়ত ভাড়ার জন্য ফোন দিচ্ছে। পুরো ভাড়া দিতে বলেছে। ভাড়া দিতে না পারলে মেস ছাড়ার হুমকি দিয়েছে। এই মুহূর্তে বাড়ি থেকে টাকা পাঠানোর মতো কোন সামর্থ্য আমার নেই। আমি এখন কি করবো?

কলা ও মানবিক অনুষদের আরেক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। অধিকাংশের বাড়িই গ্রামে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ এখন কর্মহীন বেকার । এই সময়ে কিভাবে মেস ভাড়া দিব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক্ষেত্রে এগিয়ে আসলে অনেক ভালো হতো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, সংকটপূর্ণ এই সময়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি সহনশীল হতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য মেস মালিক, বাসা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারপরও যদি কোন শিক্ষার্থী মেস মালিকদের থেকে হয়রানির শিকার হন, তাহলে আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নিব।