মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলা ও ৪ টি পৌরসভার ৭৫ হাজার পরিবারেরকে ১৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা নগদ প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে দেওয়া হবে। এতে তালিকাভুক্ত প্রতিটি পরিবার নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পাবে। এ অর্থ করোনা সংকটে অসহায় হয়ে পড়া তালিকাভুক্ত পরিবারের সদস্যদের মোবাইল নম্বরে শিওরক্যাশ, নগদ, ইউক্যাশ, বিকাশ সহ ৪ টি অর্থ লেনদেনকারী অপারেটরের মাধ্যমে আপনাআপনি উপকারভোগীদের মোবাইল হিসাবে চলে যাবে। কক্সবাজার সহ সারাদেশের এই মানবিক সহায়তা কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৪ মে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করবেন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন ১৩মে বুধবার সিবিএন-কে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, সারাদেশের সাথে কক্সবাজার জেলার তালিকাভুক্ত পরিবারের মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে ৮৯ জন উপকারভোগীকে মোবাইলে ক্যাশ ব্যালেন্স প্রদানের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন।

জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন আরো জানান, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, চেয়ারম্যান, পৌরসভার কাউন্সিলর, মেয়রের মাধ্যমে ইতিমধ্যে তৈরি করা ৭৫ হাজার পরিবারের উপকারভোগীর প্রাথমিক তালিকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের দিয়ে যাচাই বাচাই করা হবে। তালিকার ছোটখাটো ত্রুটি সমুহ, যেমন মোবাইল ফোন নাম্বার, জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার ইত্যাদি ভুল থাকলে সেগুলো সংশোধনের পর চুড়ান্ত তালিকাটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যেই তালিকাভুক্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মোবাইল ফোনের হিসাবে অপারেটরের মাধ্যমে নগদ আড়াইহাজার টাকা করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য সম্পূর্ণ নতুন উদ্ভাবিত একটি পদ্ধতি। জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন জানান, দেশের আইসিটি বিভাগ সুষ্ঠু, শৃংখলা ও সুন্দরভাবে ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে এই নতুন সফটওয়্যার উদ্ভাবন করেছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের এই সফটওয়্যারে প্রতিটি উপকারভোগী পরিবারের ২৪টি করে তথ্য দিতে হয়েছে। এ পদ্ধতিতে নগদ অর্থ বিতরণে অনিয়ম ও কারচুপির কোন আশংকা নেই।

কক্সবাজার জেলার করোনা সংকটে সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে গত ৩মে অনুষ্ঠিত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা ও পৌরসভার জনসংখ্যা অনুপাতে উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে জানান, জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।