আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :
দেশ জুড়ে করোনার থাবা বিস্তার হচ্ছে আশংকাজনক হারে।এতদিন কক্সবাজার সদরের ঈদগাও’র বাসিন্দাদের উপর করোনা আঁচড় লাগেনি।এতে সরকার ও প্রশাসনের লকডাউন কার্যত মানেনি বৃহত্তর ঈদগাঁও’র লাখো বাসিন্দা। বিগত কয়েকদিনে দেশ জুড়ে পাল্লা দিয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এবার সেই থাবার বিস্তার ঘটল কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁও’র দুই ইউনিয়নে।বিগত দুই দিনে রোগ নিরুপন পরীক্ষায় কক্সবাজার জেলায় যে সব করোনা রোগি শনাক্ত হয় এর মধ্যে দু’জন বৃহত্তর ঈদগাঁও’র বাসিন্দা । তাদের একজন হলেন ঈদগাঁহস্থ ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ওয়াহেদর পাড়ার বাসিন্দা, ও দন্ত চিকিৎসক  এবং অন্যজন ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোমরিয়াঘোনার  এডভোকেট ।এদের মধ্যে প্রথমজন মঙ্গলবার ও শেষ জন বুধবার শনাক্ত হয়।দুইজনের মধ্যে চিকিৎসক স্ব পরিবারে চট্টগ্রাম শহরে এবং অপরজন কক্সবাজার শহরে বসবাস করলেও সম্প্রতি তারা পৈত্রিক বাড়ি থেকে ঘুরে কর্মস্থলে যাওয়ার পরপরই করোনা রোগি হিসেবে শনাক্ত হয়।এতে করে তাদের পরিবার এবং প্রতিবেশিরা চরম আতংকে রয়েছে।ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের আইসি (পরিদর্শক) মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলা প্রশাসন থেকে বুধবার শনাক্ত হওয়া ওয়াহেদর পাড়ার বাসিন্দার বাড়ি লকডাউনের নির্দেশনা পেয়ে প্রশাসন ইতিমধ্যে তা কার্যকর করেছেন।কিন্তু এর পূর্বে শনাক্ত হওয়া চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী ডেন্টাল সার্জন। চিকিৎসক বাসস্থলের ঠিকানা চকরিয়া এবং চট্টগ্রাম হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন থেকে ঐ চিকিৎসক রোগীর পৈত্রিক ঘর লকডাউনের নির্দেশনা পাননি তাই ঐ চিকিৎসকের ঘর এখনো লকডাউনের আওতায় আসেনি।তবে অনেক প্রত্যক্ষদর্শী ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতি সম্প্রতি এ চিকিৎসককে এলাকায় দেখেছে দাবি তুলে জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ঐ ঘরও লকডাউনের আওতায় আনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।