এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও:
চলমান করোনা ভাইরাসে কর্মহীন আর গৃহবন্দি অসহায়-দরিদ্র পরিবারের মাঝে দুর্বিসহ জীবন চলছে। তারা এই করুন পরিস্থিতিতে তেমন ভাল নেই।
গত ২৪ মার্চ থেকে করোনা আতংকে দক্ষিন চট্র লার বৃহৎ বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারের দোকানপাঠ বন্ধ করা হয়। সে থেকে লোকজন বাড়ীতে নিরাপদে অবস্থানে রয়েছে। কিছুদিন থাকতে না থাকতেই এসব ঘরবন্দি কর্মহীন অস হায় মানুষের মাঝে দূর্বিসহতা দেখা দিয়েছে। বলতে গেলেই শ্রমিক-কর্মচারীরা বেকারত্ব এবং ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্টান খুলতে পার ছেনা আর দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোর মাঝে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। আয় রোজগারের পথ বন্ধে অনেকেই দিশেহারা। পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। বর্তমানে নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবার চরম বেকায়দায় পড়েছেন। কাউকে মুখ খুলে বলতে পারছেন না লজ্জায়। অসহায় পরিবার গুলোতে হাসির পরির্বতে চেহারায় মলিনতা ফুটে উঠেছে।
একদিকে করোনা আতংক,অন্যদিকে দূর্বিসহ জীবন। দুই সমস্যায় মহাটেনশনে আছে বৃহত্তর ঈদগাঁওর পাড়া মহল্লার মানুষরা। তার উপর পরিবার চালানোর মত আবার বাড়তি চাপও।
এমনকি বর্তমান সময়ে দোকান পাঠ,কাজকর্ম সবকিছু বন্ধ। টমটম-সিএনজির মত তিনচাকার যানবাহন চলাচল করলেও দুরপাল্লার গাড়ীও বন্ধ। এক্ষেত্রে শ্রমিক,কর্মজীবি লোকজনরাও এখন কর্মহীন হয়ে চলাফেরায় নিদারুন কষ্ট পাচ্ছে।
ঈদগাঁও বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচাবাজার ও শাকসবজি বিক্রেতারা কাঁচা তরিতরকারী বাহির থেকে আনলেও ক্রয় করার মতন উল্লেখযোগ্য ক্রেতা নেই। গ্রামগঞ্জ থেকে শাকসবজি বিক্রয় করতে আসা ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও তাদের সবজি নিয়ে বসে আছে। করোনা আতংকে মন ভাল নেই শ্রমিক,কর্মচারী,ব্যবসায়ীসহ খেটে খাওয়া লোকজনের। যে যার যার অবস্থান থেকে পরিবার নিয়ে চরম অসুবিধায় রয়েছেন।
মানবিক খাদ্য সহায়তা দিয়ে বৃহত্তর এলাকার কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে কক্সবাজারের সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ কানিজ ফাতেমা আহমদ,কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ার ম্যান লে: কর্ণেল (অব) ফোরকান আহমদ। আর পরিষদের চাউল বরাদ্দ। কর্মহীন অসহায়রা সহায়তা পেয়ে অন্তত কিছুদিন পরিবার-পরিজন নিয়ে চলতে পেরেছিল কোন রকম।
ড্রাইভার আলম তাহের বলেন,দীর্ঘকাল ধরে কর্মহীন হয়ে অসহায়ত্ব অবস্থায় রয়েছি। বর্তমান সময়ে পাঁচ সদস্যের সংসার চালানো তার পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়ে।
প্রতিবন্ধি শামসুল আলম বলেন, বর্তমান করোনা ভাইরাসে ঘরবন্দি আজ দীর্ঘসময়। কোন কাজকর্ম নেই। আয় রোজগার না থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। সহায়তা পেয়ে কোন রকম আছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্মান শ্রমিকের মতে, আমার পরিবার কষ্টে। ভাই সহায়তা পেলে পরিবারের দিকে একটু খেয়াল রাখিয়েন।
আবু বক্কর,আবদুল্লাহ, রিয়াদসহ অসহায় লোকজন বলেছেন, এ দুর্যোগে পরিবার নিয়ে দু:চিন্তায় পড়েছি। আগামী দিনগুলো কিভাবে কাটাবো ভেবে কূল পাচ্ছিনা। এই আঁধার কখন কাটবে, কখন আসবে আলো এমনি প্রশ্নে ঘোরপাক খাচ্ছে সচেতন মহলের মাঝে।