আবুল কালাম, চট্টগ্রাম:
কথায় আছে জাতীয় ফল কাঁঠাল এবং জৈষ্ঠের রসালো ফলও কাঁঠাল, বৈশাখ শেষে নগরীর অলিগলিতে দেখা মিলল। রসালো ফল কাঁঠালে সয়লাব। নগরের সব ফলের আড়তে এবং বিভিন্ন বাজারে এখন আগাম চলে এসেছে সুমিষ্ট এই গ্রীষ্মকালীন ফলটি। সুস্বাদু ও রসালো ফল হিসেবে মৌসুমী এই ফলের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।

বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি সময়েই সাধারণত বাজারে কাঁঠাল পাওয়া যায়। কিন্তু এবার তা বৈশাখেই চলে এসেছে। বাগান থেকে আড়তদাররা সরাসরি কিনে নিচ্ছে কাঁঠাল। আগাম বিক্রি করায় লাভও বেশি পান বাগান মালিকরা

জানা জায় চট্টগ্রামের তিন পার্বত্য জেলায় প্রচুর কাঁঠাল উৎপাদন হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রাম শহরসহ ঢাকায় রপ্তানি করা হয় বাংলাদেশের জাতীয় ফলটি। চট্টগ্রামের পাইকারী ব্যবসায়ীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে কাঁঠাল নিয়ে আসে আড়তে। আড়ত থেকে নগরের প্রত্যেকটি হাটবাজার ও ফলের দোকানে চলে যায় সেই চালান।

রাঙামাটি এলাকার একটি কাঁঠাল বাগানের মালিক দেবাশীষ বলেন, ‘আমার বাগানে ১৫ থেকে ২০ হাজার কাঁঠাল উৎপাদন হবে। সেখান থেকে বড় সাইজের এক হাজার কাঁঠাল বিক্রি করেছি ৪০ হাজার টাকায়।’

তিনি বলেন, ‘এখন দাম একটু ভাল পাওয়ায় বিক্রি করে দিয়েছি। এখনো কাঁঠাল পরিপক্ক হয়নি। তাই সবগুলো বিক্রি করা যাচ্ছে না। টাকার জন্য আগাম বিক্রি করেছি।’

চট্টগ্রামের ফিসারি ঘাট এলাকার কাঁঠালের আড়তদার মোহাম্মদ বলেন, ‘এ রমজানে কাঁঠালের চাহিদা রয়েছে। চাহিদার বিবেচনায় দামও বাড়তি পাওয়া যায়। তাই আড়তে কাঁঠাল তোলা হয়েছে। আড়তে প্রতি হাজার কাঁঠাল ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে একটি কাঁঠাল ১০০ থেকে আকারভেদে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

এদিকে নগরীর ফইল্ল্যাতলী বাজার এক কাঁঠাল ব্যবসাই আশিফ জানান আডতে কাঁঠাল বেশি দেখে আমিও আনলাম। এখন দেখি চাহিদাও আছে ভাল। তাই আমি আশা করি এই রসালো ফল কাঁঠাল প্রতি ঘরে ঘরে পৌঁচে দিতে পারব।