মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

গত ২৪ মার্চ থেকে সোমবার ১১মে পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় মোট ১০২ জন করোনা ভাইরাস জীবাণু আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস রোগী সনাক্ত করা হয় ৮ মার্চ। কক্সবাজারে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত করা হয় ২৪ মার্চ। কক্সবাজার জেলার ৮ টি উপজেলার মধ্যে কুতুবদিয়া ছাড়া ৭টি উপজেলায় ক্রমান্বয়ে করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়।

প্রায় প্রত্যেকদিন কক্সবাজার জেলায় করোনা রোগী সনাক্ত করা হচ্ছে। যা চরম আতংকের বিষয়। ১১ মে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ১৮৭ জনের স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে ১৩ জনের রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়। বাকী ১৭৪ জনের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ পাওয়া যায়। ‘পজেটিভ’ রিপোর্ট পাওয়া ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন রোগী কক্সবাজার জেলার। বাকী ২ জন বান্দরবান জেলার বাসিন্দা।

একই দিন কক্সবাজার জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১শ’ পার হয়ে ১০২ জনে পৌঁছে গেছে। থামানো যাচ্ছেনা করোনা রোগী সনাক্তের সংখ্যা। অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ছে সামগ্রিক অবস্থা। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন, স্বাস্থ্য বিভাগ, মাঠ প্রশাসন সহ সকলে। চিন্তিত হয়ে হয়ে পড়েছেন পুরো জেলাবাসী। কক্সবাজার জেলা কি নারায়নগঞ্জে রূপ নিচ্ছে কিনা।
জেলায় লকডাউন (Lockdown) কাগজে থাকলে মাঠে কার্যকর নেই। কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে।

সোমবার ১১ মে ‘পজেটিভ’ রিপোর্ট পাওয়া ১৩ জন করোনা রোগীর মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৩ জন, পেকুয়া উপজেলায় ২ জন, উখিয়া উপজেলায় ১ এবং চকরিয়া উপজেলায় ৫ জন, কুতুবদিয়া উপজেলায় ১ জন এবং বান্দরবান জেলায় ২ জন। এনিয়ে কক্সবাজার জেলায় সোমবার ১১মে পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো ১০২ জনে।

এরমধ্যে উপজেলা ভিত্তিক মোট সংখ্যা হলো- চকরিয়া উপজেলায় ৩০ জন, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ২৫ জন, পেকুয়া উপজেলায় ১৬ জন, মহেশখালী উপজেলায় ১২ জন, উখিয়া উপজেলায় ৯ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৬ জন এবং রামু উপজেলায় ৪ জন। কুতুবদিয়া উপজেলায় সোমবার ১জন করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছিলো তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান। উক্ত করোনা রোগী সদর উপজেলার রোগী হিসাবে গণ্য করা হবে বলে তিনি জানান।

রামু উপজেলার কাউয়ার খোপ ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ার খোপ গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এর স্ত্রী ছেনু আরা বেগম ৩০ এপ্রিল রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই মহিলা হচ্ছে, কক্সবাজারে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুবরণ করা রোগী। ইতিমধ্যে মোট ২২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।