সংবাদদাতা :

বিদ্যমান করোনা ভাইরাস (Covid-19) পরিস্থিতিতে সীমিত আয়ের ব্যক্তিদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার নিমিত্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষক কর্তৃক ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে গৃহীত সকল প্রকার ঋণের কিস্তি পরিশোধের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গত ২৩ এপ্রিল ২০২০ ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বরাবরে চিঠি প্রেরণ করেন।
মহেশখালী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর সম্বলিত উক্ত চিঠির কপি গত ৩০ এপ্রিল ২০২০ পূবালী ব্যাংক মহেশখালী শাখায় প্রেরণ হয়।
গত ০৩ মে ২০২০ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের বেতন সংশ্লিষ্ট একাউন্ট নাম্বারে জমা হয়। সেদিন থেকে ব্যাংক খোলা না থাকায় শিক্ষকরা বেতনের টাকা তুলতে পারেননি।
১০ মে ২০২০ বেতনের টাকা উত্তোলনকালে দেখা যায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের না জানিয়েই ঋণের কিস্তির টাকা কর্তন করে রাখেন।
ইতিপূর্বে রূপালী ব্যাংক এপ্রিল, মে ও জুন মাসের এবং সোনালী ব্যাংক এপ্রিল মাসের কিস্তির টাকা স্থগিত করে আদেশ জারি করে। কিন্তু পূবালী ব্যাংক গ্রাহকদের এ সুবিধা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষকরা জানান, এপ্রিল মাসের বেতন হওয়ার পর ব্যালেন্স কত আছে তার ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছে। আজকে টাকা উত্তোলনের পর ব্যালেন্স কত আছে তার ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছে। মাঝখানে আমাদেরকে না জানিয়ে কিস্তির টাকা যে কর্তন করা হয়েছে তার কোনো ম্যাসেজ দেওয়া হয়নি। আমরা বেতন উত্তোলনের জন্য চেক জমা করলে বলা হয় ব্যালেন্সে পর্যাপ্ত টাকা নেই। কারণ জিজ্ঞেস করলে বলা হয় কিস্তির টাকা কেটে নেয়া হয়েছে। তখন আমাদেরকে বাধ্য হয়ে চেকে কাটাছেঁড়া করে এবং পূনঃ স্বাক্ষর করে টাকা উত্তোলন করতে হয়েছে। এব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কামনা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকগণ।