রফিক মাহমুদঃ
বর্তমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণের হার ক্রমেই আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বিনা প্রস্তুতিতে দীর্ঘ ২ মাস বন্ধ রেখে আমরা লকডাউনে যাওয়ার পরেও জনসাধারণের অবহেলা ও অসচেতনতার কারণে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে এর তান্ডব লীলা।
আজ আমরা কেউ নিরাপদ নই। জীবন ও জীবিকার মাঝখানে কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন আমরা ব্যবসায়ী সমাজ।
কক্সবাজারের সর্বস্তরের জনসাধারণ বিগত কয়দিন ধরে দোকান শপিং মল না খোলার পক্ষে তাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করেছেন। আমাদের নিম্ন মধ্যবিত্ত ও ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা পুজি হারিয়ে অত্যন্ত কঠিন সময় পার করেছেন।
দোকান কর্মচারী ও শ্রমিক ভাইদের বাড়ীতে ক্ষুধা ও কান্নার নীরব পদধ্বনি।
দোকান ভাড়া, গুদাম ভাড়া, ইলেট্রিক, ভ্যাট, ট্যাক্স, বাসাভাড়া কর্মচারীদের বেতন বোনাস প্রতিদিনে বন্ধ অবস্থায় আমাদের দেনার ঘাড়ে জমা হচ্ছে।
ব্যাংক সুদ, ইউটিলিজার বিল ও নিরবে বহন করে যেতে হচ্ছে।
এমতাবস্থায়, আমাদের সার্বিক কষ্টের মধ্যেও কক্সবাজারবাসীর সুরক্ষা, নিজের, পরিবারের, কর্মচারীর এবং ক্রেতা ও শুভানুধ্যায়ীদের সংক্রমণের আশঙ্কা হতে পরিত্রাণের জন্য সকল প্রস্তুতি ও সংগ্রহের প্রতুলতা সত্বেও আমাদেরকে ‘আগে জীবন পরে জীবিকা’ মেনে চলতে হবে।
আমাদের সকলের জীবন সুরক্ষার পথটি আগে বেছে নিতে হয়েছে। তাই শত দুঃখ ও দূর্দশা সত্বেও আমরা সারা কক্সবাজার জেলায় দোকান ও শপিং মল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।
আমরা ইতোমধ্যেই দোকান ভাড়া ও গুদাম ভাড়া মওকুবের জন্য মার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশনের বরাবরে সবিনয়ে অনুরোধ জানিয়েছি।
প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সকলের কাছে আমাদের কর্মচারীদের খাদ্য সহায়তার আবেদন করেছি।
সুতরাং আমাদের কষ্ট ও অনাহারের আশঙ্কা সত্বেও আমরা সকল দোকান পাট, মার্কেট- শপিং মল বন্ধ রাখার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
আপনারা সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন। আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখুন। তিনি মহান দয়ালু। তিনি নিশ্চয় আমাদের সুরক্ষিত রাখিবেন। খোদা হাফেজ।
রফিক মাহমুদ
সভাপতি
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি
কক্সবাজার জেলা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।