ফাইল ছবি
মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
সাতকানিয়া থেকে আগত ৪১ জন শ্রমিককে স্থানীয় মেম্বার ও পুলিশের সহায়তায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। শনিবার ৯মে
কুতুবদিয়া প্রবেশের পথে আটকিয়ে তাদেরকে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। কুতুবদিয়ার ইউএনও জিয়াউল হক মীর বিষয়টি সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, করোনার ‘রেড জোন’ হিসাবে পরিচিত চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকার ব্রিক ফিল্ডে কাজ শেষ করে ৪১ জন শ্রমিক কুতুবদিয়া আসার খবর পেয়ে ইউএনও এবং উপজেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক জিয়াউল হক মীর এর নির্দেশে পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি তাৎক্ষণিক গিয়ে এসব ব্রিক ফিল্ড শ্রমিকদের আটকিয়ে তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন পাঠিয়ে দেন।
ইউএনও জিয়াউল হক মীর জানান, উপজেলা প্রশাসন কুতুবদিয়ার প্রতিটি প্রবেশপথে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ভিন্ন উপজেলা থেকে কোন লোক বা দীর্ঘদিন বাইরে থাকা কুতুবদিয়ার লোক কুতুবদিয়া উপজেলার ভৌগোলিক এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলেই তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনে তাদের হোম বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে বাধ্যতামূলকভাবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত ৮মে ৮২ জনকে এভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে কুতুবদিয়া উপজেলায় সর্বমোট ৪৩৭ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানোর এ সংখ্যা জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে কুতুবদিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশী। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে থাকা ১৪১ জনের কোয়ারান্টাইন পিরিয়ড শেষে তাদের শরীরে কোন করোনা উপসর্গ পরিলক্ষিত না হওয়ায় তাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
কুতুবদিয়া উপজেলার বাহির থেকে আসা এসব নাগরিকদের কৈয়ারবিলের আবু হানিফা একাডেমিতে, আইডিয়াল হাইস্কুলে, দক্ষিণ ধুরং এর ডিঙ্গাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কাইমুল হুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।
কুতুবদিয়ার বাহির থেকে আসা এসব লোকজনকে ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের সাহায্যে প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে। তবে কারও শরীরেই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয়নি বলে জানান, কুতুবদিয়া থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌস।
কুতুবদিয়ার ইউএনও জিয়াউল হক মীর আরো জানান, আল্লাহর অসীম রহমতে দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হওয়ার পর দীর্ঘ ৬২দিন অতিবাহিত হলেও ৯মে শনিবার পর্যন্ত কুতুবদিয়া উপজেলার কোন বাসিন্দা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। এটা উপজেলা প্রশাসনের করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যে সম্পৃক্ত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার একটা ইতিবাচক ফলাফল বলে মনে করেন, কুতুবদিয়ার ইউএনও এবং উপজেলা করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক জিয়াউল হক মীর।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।