ফারহানা ইয়াসমিন

 

সারাবিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত ও আলোড়িত বিষয়বস্তু হলো করোনা ভাইরাস। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এটার প্রভাব ভয়াবহ আকারে বেড়ে চলেছে। যার কারণে আমাদের দেশটি এখন লকডাউনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এবং কেন এই লকডাউন জারি করা হয়েছে সেই কারণও আমরা জানি। সেগুলো জানার পরেও আমরা দেখতে পারছি নৈশ ভ্রমণ। আরেকটু সহজে বলা যাক বিষয়টিঃ

এখন রমজান মাস। এসময় সাধারণত দেখা যায় লোকজন দিনের বেলায় তাদের ঘরের ও ঘরের বাইরের কাজগুলো কম্পিলিট করে রাখে। কারণ রাতে আল্লাহর ইবাদত করতে হয়,তারাবির নামাজ পড়তে হয়। কিন্তু এই করোনা নামক দূর্যোগকালীন সময়ে লকডাউনের কারণে রাতের আধারে লোকজন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করছে। অনেকে আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছে, আরও অন্যান্য কাজে বাইরে যাচ্ছে। আবার অনেকে সেহেরির পর বের হচ্ছে তাদের গন্তব্য স্থলে। রাতের বেলায় গাড়ি গুলো যেন তাদের প্রাণ খুঁজে পাচ্ছে। মোট কথা লোকজন রাতের আঁধারে অবাধে চলাফেরা করছে।

এখন প্রশ্ন হলো,কেন এই লকডাউন জারি করা হয়েছে?
এই কথাটি বাঙালী আর কবে বুঝবে? ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শতকের ঘর থেকে কয়েক হাজারের ঘরে প্রবেশ করেছে। মৃত্যুর সংখ্যা ও ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। এগুলো জানার সত্ত্বেও এই বাঙালী নৈশ্য ভ্রমণের যাত্রা শুরু করেছে।

এই লকডাউনের কারণে পুরা দেশ অচল হয়ে আছে। তারপরেও এই লকডাউন জারি করোনার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য। সরকারের কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে,দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। তা সত্ত্বেও সরকারই দেশের জনগনের কথা চিন্তা করে লকডাউন করেছে। তাই আমাদের উচিত দেশের স্বার্থে,সমাজের স্বার্থে, পরিবারের স্বার্থে লকডাউন মেনে চলা।

সর্বোপরি, এসময়ে অধৈর্য না হয়ে ঘরে থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে আমাদের স্বাভাবিক জীবন পুনরায় ফিরে পাওয়ার জন্য।

 

লেখক: ফারহানা ইয়াসমিন, শিক্ষার্থী,সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।