কামাল হোসেন,রামু :
রামুর প্রথম করোনায় আক্রান্ত সালেহ আহমদ করোনাজয়ী করে বাসায় ফিরেছেন। সালেহ আহমদ(৩৬) রামু কাউয়াখোপ ইউনিয়নের গাছুয়া পাড়া ৭ নং ওয়ার্ডের মৃত ছুরুত আলমের পুত্র । বৃহস্পতিবার (৭ মে ) রামুর আইসোলেশন ইউনিট থেকে সুস্থ হওয়ায় ছাড়পত্র পেয়েছেন তিনি। সন্ধ্যায় হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স করে তার নিজ বাসায় পৌছে দেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চত করেছেন রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া।
জানা যায়, করোনাজয়ী সালেহ আহমদ গত ২৬ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রাম থেকে এলাকায় আসেন। এলাকাবাসী তাকে দেখতে পেয়ে প্রশাসনকে অবহিত করলে রামু ইউএনও নিজে উপস্থিত হয়ে তার বাড়ি লকডাউন করেন। সাথে সাথে রামুর স্বাস্থ বিভাগের কর্মীরা তার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। ২৭ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে থেকে তার শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্তের রিপোর্ট আসলে ঐদিনই তাকে রামুর আইসোলেশন ইউনিট নিয়ে যান রামুর স্বাস্থ্য বিভাগ। উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা পরে দ্বিতীয় নমুনা পরিক্ষার রিপোর্টে নেগেটিভ আসলে ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণের পরে তার অবস্থা ভালো হিসেবে প্রতিয়মান হলে তাকে গতকাল সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয় এবং হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে তাকে বাসায় পৌছে দেন।
রামু স্বাস্থ্য বিভাগের সুত্রমতে,এই পর্যন্ত রামুতে করোনা সনাক্ত হয়েছে ৪ জন। মৃত্যু বরণ করেছেন ১ জন,সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ১ জন।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া বলেন, ছাড়পত্র প্রাপ্তরা বাড়ি ফিরে গিয়ে ১৪ দিন কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে।তাদের আমরা কিছু নির্দেশনা দিয়েছি সেই অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে।এরপরও যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।স্ব স্ব উপজেলার আমাদের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারাও তাদের তদারকি করবেন।
তিনি আরো বলেন,কারো করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তথ্য গোপন না করে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে যোগাযোগ করবেন। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও অনুরোধ করেন তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।