শাহেদ মিজান, সিবিএন:

আজ ৭ মে কক্সবাজার জেলার ১৯জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে পেকুয়া উপজেলারই রয়েছে নয়জন। এই নয়জনের মধ্যে সাতজনই পেকুয়া বাজারের। এই সাতজনই গত ২ মে করোনা সনাক্ত ফার্মেসী ব্যবসায়ীর সংস্পর্শে এসে নিজেরাই আক্রান্ত হয়েছেন। এমনটি ধারণা করছেন পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছাবের আহমদ।

তিনি জানান, ২ মে পেকুয়া বাজারের একজন ফার্মেসী ব্যবসীর করোনা আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত হন। তিনি সনাক্ত হওয়ার আমরা তার সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন এই নিয়ে একটি অনুসন্ধান চালাই। সে মতে, ৬ মে পেকুয়া বাজারের ১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে তা কক্সাবজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠাই। ১৮জন থেকে সাত জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। সাতজনের সবার বয়স ১৫ থেকে ২৫ এর মধ্যে। নয়জনের অন্য দুইজন বারবাকিয়া ইউনিয়নের সবজিবন পাড়ার বাসিন্দা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছাবের আহমদ বলেন, পেকুয়া হঠাৎ এত বেশি সংখ্যক করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় খুব ব্যথিত হয়েছি। এখন চিন্তায় পড়েছি, ওই ফার্মেসীর সংস্পর্শে আরো অনেকে এসেছে। তাদের কিভাবে সনাক্ত করবো। এটা খুব কঠিন বিষয়টি। তাই পেকুয়া বাজার অন্যান্য স্থানে যারা ওনার সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদেরকে স্ব-স্ব উদ্যোগে নমুনা দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। না হয় সংক্রমণ আরো বেড়ে যাবে।

২ মে করোনা সনাক্ত পেকুয়ার ওই যুবক তার পিতার ফার্মেসী বসতেন। স্বাভাবিকভাবে ওষুধ বিক্রির মাধ্যমে অনেকে তার সংস্পর্শে আসতে পারে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিভাগ- এমনটি জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছাবের আহমদ।