মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

গত ২ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে করোনার স্যাম্পল শুরু হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার ৭ মে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২১ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন হচ্ছেন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বাসিন্দা। আরেকজন হচ্ছেন রামু উপজেলার আগে করোনা সনাক্ত হওয়া রোগীর দ্বিতীয়বার ফলোআপ স্যাম্পল টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ। বাকী ১৯ জন সবই কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা এবং নতুন করোনা সনাক্ত হওয়া রোগী।

কক্সবাজার জেলার সনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে পেকুয়া উপজেলায় ৯ জন, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৬জন, চকরিয়া উপজেলায় ৩ জন ও মহেশখালী উপজেলায় ১জন রোগী রয়েছে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে বৃহস্পতিবার ৭মে ১৫০ জনের স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া উপজেলা ভিত্তিক এই ২১ জনের পাওয়া গেছে। বাকী ১২৯ জনের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ পাওয়া যায়।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার ৭ এপ্রিল পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া ১৯ জন করোনা রোগী সহ কক্সবাজার জেলায় বুধবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো ৭০ জন।

গত ২ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে শুরু হওয়া করোনা টেস্টে রোববার পর্যন্ত ৩৫ দিনে ২২৬৭ জনের স্যাম্পল টেস্ট করা হয়। তারমধ্যে, ৭৭ জনের রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়। অবশিষ্ট ২১৯০ জনের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ পাওয়া গেছে। ৭৭ জন ‘পজেটিভ’ পাওয়া রোগীর মধ্যে ৬৯ জন কক্সবাজার জেলায় এবং ৫ জন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা, একজন লামা উপজেলার, একজন লোহাগাড়া উপজেলার ও একজন বান্দরবান সদর উপজেলার বাসিন্দা। গত ২৪ মার্চ সনাক্ত হওয়া কক্সবাজার জেলার প্রথম করোনা রোগী চকরিয়ার খুটাখালীর মুসলিমা খাতুনের শরীরের স্যাম্পল টেস্ট করা হয়েছিলো ঢাকার আইইডিসিআর ল্যাবে। তিনি সুস্থ হয়ে গত ৮ এপ্রিল বাড়িতে ফিরেছেন।

জেলার একমাত্র কুতুবদিয়া উপজেলায় এখনো কোন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়নি।

রামু উপজেলার কাউয়ার খোপ ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ার খোপ গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এর স্ত্রী ছেনু আরা বেগম ৩০ এপ্রিল রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই মহিলা হচ্ছে, কক্সবাজারে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুবরণ করা রোগী। ইতিমধ্যে মোট ১৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।