শাহেদ মিজান, সিবিএন:
টেকনাফের পাহাড়ি আস্তানায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ তিন ডাকাত নিহত হয়েছে। বুধবার ভোরে হ্নীলা রঙিখালি গহীন পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ কর্মকর্তাসহ পুলিশের ৫ সদস্য এবং ১৮টি দেশি বিদেশি অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলো, হ্নীলা ইউপির রঙ্গীখালী জুম্মাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ@ ভোলাইয়া বৈদ্যর পুত্র সৈয়দ আলম (৩৮) ও তার ভাই নুরুল আলম(৩৭) একই এলাকার সাব্বি আহমদের পুত্র মোঃ মনাইয়া(২২)।
সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, হ্নীলা ইউপিস্থ রঙ্গীখালী গাজীপাড়া সাকিনের পশ্চিম দিকে পাহাড়ের পাদদেশে অপহৃত বাঙ্গালী ভিকটিম সাহেদ ও ইদ্রিসহ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিম তার অন্যান্য সহযোগী ডাকাতদের নিয়ে অবস্থান করছে পুলিশ গোপনসূত্রে সংবাদ পান। এই সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে ভোর অনুমান সাড়ে ৬টার দিকে ওই স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশ পৌঁছলে ডাকাতদলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাতরা পিছু হটে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ৩ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল হতে উদ্ধারপূর্বক দ্রুত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা তারা মৃত্যুবরণ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
ওসি জানান উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, ৫(পাঁচ) টি একনলা বন্দুক, ২(দুই) থ্রি কোয়াটার বন্দুক, ১০(দশ) টি এলজি, ১(এক) টি বিদেশী পিস্তল, ১১(এগার) রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৮(আট) রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ২০৫(দুইশত পাঁচ) রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৮। ৭২ (বাহাত্তর) রাউন্ড কার্তুজের খোসা, ৫৬,০০০ (ছাপান্ন হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩(তিন) সেট বিজিবি ও ১০(দশ) সেট পুলিশের পোশাক।
উল্লেখ্য যে, ডাকাত আঃ হাকিম অপহৃত ভিকটিমদের নিয়ে পাহাড়ে আত্মগোপণে থাকায় তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আবদুল হাকিম ডাকাতকে গ্রেফতারসহ অপহৃত ভিকটিমদের উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানা ওসি।
ওসি প্রদীপ জানান, আহত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যেদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতদের ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।