প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
কক্সবাজারের রামু উপজেলায় জেলা প্রশাসকের চালের বরাদ্দে বিমাতাসূলভ আচরণে রামুবাসী ফুঁসে উঠেছে। আরো কম সংখ্যক জনসংখ্যার উপজেলায় ৩০০ মেঃ টন ( ৩ লক্ষ কেজি) এর উপরে বরাদ্দ আর রামুতে জনসংখ্যা ও দারিদ্রতার হার বেশি থাকা সত্ত্বেও মাত্র ১১৯ মেঃ টন ( ১ লক্ষ ১৯ হাজার কেজি) বরাদ্দে রামুবাসীকে ক্ষুদ্ধ করেছে।
গতকাল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এক বিবৃতিতে বলেছে-” রামুতে চাহিদাপত্র অনুযায়ী যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা সঠিক।”এতে রামুবাসী মনে করে চাহিদাপত্র জেলা প্রশাসন সঠিকভাবে নির্ণয় করেনি। চাহিদাপত্র ইচ্ছাকৃত মনগড়া তৈরী করেছে।
রামু উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মনে করেন- এ চাহিদাপত্র রামুবাসীকে বঞ্চিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। দারিদ্রতা ও কর্মজীবি মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়া সত্ত্বেও মাত্র ৮০০০ সংখ্যা দেখানো রামুবাসীকে ইচ্ছেকৃত বঞ্চিত করার সামিল।
বিবৃতিতে বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন তা জেলা প্রশাসকের বিমাতাসূলভ আচরণের কারণে আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। রামুতে সরকারের ন্যায্য ত্রাণ না পাওয়া প্রতিটি এলাকার মানুষের মধ্যে যেমন ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, তেমনি সরকারের ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনের দেওয়া বিবৃতিটি রামু উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সমূহ প্রত্যাখ্যান করেছে। ভবিষ্যতে জনসংখ্যা অনুপাতে ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন- ত্রাণ বরাদ্দের বিষয়ে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে, তাদেরকে জেলা প্রশাসন হুমকি প্রদর্শন করেছে। যদি তাদের কোন ধরনের শাস্তি ভোগ করতে হয় তার প্রতিদানে শেখ হাসিনা সরকারের অধিনে কিভাবে শাস্তি ভোগ করতে হয়, তা কুড়িগ্রাম থেকে শিক্ষা নিতে বলা হয়। কক্সবাজারের মানুষ এখনো ভূলে নাই এলও অফিসের শতকোটি টাকার দূর্নীতির কথা।

হোষ্ট কমিউনিটি হিসেবে কক্সবাজার- রামুর জন্যে আন্তর্জাতিক সংস্থার কোটি টাকা বরাদ্দের হিসাব জানতে চায়। কক্সবাজার সদর উপজেলা ও পৌরসভায় জেলা প্রশাসনের বরাদ্দের সাথে পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পাওয়া বরাদ্দের কোন মিল নেই। ইতিমধ্যে রামুবাসীর জন্য যে ৮০০০ চালের কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তাও অন্যান্য উপজেলা থেকে অনেক কম।
বিবৃতিদাতারা এহেন অনিয়মে বিক্ষুদ্ধ। তারা এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এবং রামুবাসীর বকেয়া পাওনা বরাদ্দের জোর দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজলও বরাদ্দের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিদাতারা হলেন রামু উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এবং কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা রমেশ বড়ুয়া, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার ফরিদ আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কবির মেম্বার, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা ইছহাক বাঙালি, হাজী নুরুল কবীর, নুরুল হক, রামু উপজেলা যুবলীগ সভাপতি, সাবেক সফল উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়ুয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমেদ হেলালী, সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক,
কক্সবাজার জেলা তাঁতী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনছারুল হক ভুট্টো, রামু উপজেলা সৈনিকলীগের সভাপতি মিজানুর হক রাজা, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক বাবু, রামু উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি শফিউল আলম কাজল, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, রামু উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি নুরুল আলম জিকু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, রামু ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা নুরুল আজিম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জামাল উদ্দিন আনসারী, রামু উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সুজশ বড়ুয়া , সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবীর, ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন, দুরন্ত মন্ডল পাড়ার সভাপতি তসলিম উদ্দিন সোহেল, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, রামু উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি কামরুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহেদ, রামু উপজেলা বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালিব রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল বিন হোসাইন প্রমুখ।