কনক বড়ুয়া, উখিয়াঃ
বিশ্বমহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচাতে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন। চলছে লকডাউন। এ লক্ষ্যে বেশ প্রচার-প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। কাড়াকড়ি করা হচ্ছে প্রশাসনিকভাবে।

কিন্তু উখিয়া উপজেলার হাট বাজারগুলোতে সরকারী নির্দেশনা, লকডাউন মানা হচ্ছে না। সবকিছু চলছে আগের মতোই। সামাজিক দূরত্বও মানছে না কেউ।

উখিয়ার মরিচ্যা বাজারের সাপ্তাহিক বাজার বসে বুধবার ও রবিবার। সাপ্তাহিক বাজার আসতে না আসতেই সকাল থেকে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও চায়ের স্টল বাদে সব দোকানপাট খুলতে শুরু করে। ফুটপাতেও বসছে হরেক রকমের মৌসুমী ফলের দোকান, ইফতারের সারি সারি দোকান। কোনভাবেই দেখা যাচ্ছে না সচেতনতার ভাবমুর্তি।

সরজমিনে দেখা যায়, উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা বাজারে জনগণের ভীড়। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ফাকি দিয়ে জনসমুদ্রে পরিনত হচ্ছে মরিচ্যা বাজার। যেখানে তিনফুট সামাজিক দুরত্ব রেখে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে সেখানে মরিচ্যা বাজারে তিনফুটের মধ্যে ৫ থেকে ৬ জন অবস্থান করে বাজার করতে দেখা গেছে।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, মরিচ্যা বাজারের নুরজাহান মার্কেটের বেশ কয়েকটি কাপড়ের দোকান আর কসমেটিকস এর দোকানদাররা ক্রেতাদের দোকানের আড়ালে ঢুকিয়ে ব্যবসা করতেছে। ফাঁকি দিচ্ছে প্রশাসনের চোখ। শুধু তাই নয়, কম্পিউটারের দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাতের ছোট ছোট হকাররাও জনসমাগম করে তাদের ব্যবসা চালু রেখেছে।

দেশের এমনতরো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে, পবিত্রতার মাসে বাজারে অপরিষ্কার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে কেনা বেঁচা। জনসাধারণের চলাচলে নেই নিয়ন্ত্রণ। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে ইজি বাইক চলাচল করতে দেখা গেছে। মাস্কহীন ঘুরাফেরা করতেছে মরিচ্যার অসচেতন জনসাধারন।

ইতিমধ্যে দেখা যায়, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী ও উখিয়া পুলিশ প্রতিদিনই অভিযান চালাচ্ছেন উখিয়ার এই ব্যস্ততম মরিচ্যা বাজারে। সরকারের নির্দেশনা না মানায় ছোট ছোট দোকান থেকে শুরু করে মুদির দোকানে পর্যন্ত করতেছে জেল–জরিমানা। তাপরেও মানছে না কেউ। সবাই যার মত ঘরে থেকে বেরিয়ে এসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জীবন বাজি রেখে সাইরেন বাজিয়ে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা মরিচ্যা বাজারে টহল দিতে থাকে উখিয়া পুলিশ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে আমরা সরকারের সকল নির্দেশনা পালনের জন্য জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু জনগণ তাদের নিজেদের ভালো বুঝতে পারছেন না। জনগণ সচেতন হলেই সম্ভব করোনা ভাইরাসকে মোকাবেলা করা। জনগণের আন্তরিকতায় হবে আমাদের জন্য বড় পাওনা। এবং সবাই আমাদের ঘোষিত নির্দেশনা মেনে সচেতন হয়ে আমাদের সহযোগিতা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।