মুহিববুল্লাহ মুহিব, সিবিএন:

কক্সবাজারের টেকনাফের একটি বাগানে পাওয়া পোকাটি ঘাস ফড়িং প্রজাতির।এটি ভয়ঙ্কর মরুভূমির পঙ্গপালের কোন প্রজাতি নয়। স্থানীয় কৃষকদের মাঝে পোকাটি ‘এরেন্ডা পোকা’নামে পরিচিত।

শনিবার (২ মে) টেকনাফের লম্বরী এলাকা পরিদর্শন শেষে এমনই মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পোকাটি ব্যাপকভাবে ক্ষতি করতে পারবে না। এরআগে থেকে পোকাটি বাংলাদেশে ছিল। টেকনাফের মতো ব্যাপক হারে না থাকলেও এটি বিজ্ঞানীরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন ।

পরিদর্শন শেষে বিজ্ঞানীরা প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত করেন যে, এটি ভয়ঙ্কর মরুভূমির পঙ্গপাল (Desert locust) এর কোন প্রজাতি নয় এবং এটির দ্বারা ব্যাপক ফসলহানির কোন সম্ভাবনা নেই।

এটি বাংলাদেশে বহু আগে থেকেই বসবাস করা একটি ঘাস ফড়িং (Grasshopper) এর একটি প্রজাতি যার বৈজ্ঞানিক নাম Aularches miliaris। যেটি Orthoptera গোত্রের Pyrgomorphidae পরিবারভুক্ত ঘাসফড়িং এর একটি প্রজাতি যা এখনও Nymph পর্যায়ে রয়েছে। স্হানীয় কৃষকগন এটিকে “এরেন্ডা পোকা” নামে ডেকে থাকেন।
বিশেষজ্ঞগণ পূর্বে সংরক্ষণ করে রাখা জীবন্ত নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান এটির জীবনচক্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করা জন্য।

এসব বিষয় সিবিএনকে নিশ্চিত করেছেন পরিদর্শনে আসা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (নিরাপত ফসল উৎপাদন বিভাগ) আইপিএম স্পেশালিস্ট আরিফুর রহমান শাহিন।

তিনি জানান, আইপিএম, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের উপ-পরিচালক মোঃ রেজাউল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), DAE চট্টগ্রাম অঞ্চল মোঃ নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। প্রাথমিক আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি যে এটি পঙ্গপাল নয়। এ পোকাটি বাংলাদেশে আরও আগে থেকে ছিল। এটি আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পেয়েছি। স্থানীয় কৃষকরা এটিকে ‌’এরেন্ডা পোকা’ নামে চিনে। তাই এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

আইপিএম স্পেশালিস্ট শাহিন আরও জানান, পোকাটি ব্যাপক হারে ফসলের ক্ষতি করতে পারবে না। ইতিমধ্যে বেশীরভাগ পোকাকে দমন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, টেকনাফের লম্বরী গ্রামের একটি বাড়ির আম গাছসহ বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছের শাখা-প্রশাখায় সম্প্রতি দেখা মেলে এক ধরনের এ পোকা। পোকাগুলো গাছের পাতা সম্পূর্ণ রূপে খেয়ে ফেলছে। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এলে বেশ হইচই পড়ে যায়। কৃষি বিভাগও নড়ে চড়ে বসে।