মুহিববুল্লাহ মুহিব, সিবিএন:

বিশ্ব মহারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারন মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় হতদরিদ্র মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে “ডাক্তারের পেছনে রোগী নয়, রোগীর পেছনে ডাক্তার” এ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কক্সবাজার জেলায় এটাই প্রথম ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল বলে জানিয়েছে উদ্যােক্তরা।

হাসপাতালের জন্য সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) কক্সবাজার জেলা শাখা, ব্র্যাক ও গিফট কিং হিউম্যানিটি নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা।

তাদের সহযোগীতায় হাসপাতালটিতে যে সেবা থাকছে, চিকিৎসকরা নাগরিকদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাসহ চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করবেন। এছাড়া কারও করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা গেলে তার নমুনা পরীক্ষার জন্য সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে। বিনামূল্যে ওষুধ ও দেওয়া হবে অসহায়, দরিদ্র ও দুস্থ রোগীদের। হাসপাতালটিতে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন দুজন চিকিৎসক, চার জন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী।

কক্সবাজার জেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় সিবিএনকে বলেন, ‘গিফট কিং হিউম্যানিটি নামের একটি এনজিওর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজর (অব:) মোহাম্মদ শায়েস্তা খান ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালটি পরিচালনার জন্য অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বড় ভ্যানটি বিনা শর্তে দিয়েছেন। এই ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসকরা নাগরিকদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাসহ চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করবেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের কুলালপাড়া থেকে আজ ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের সেবা শুরু হয়েছে। “ডাক্তারের পেছনে রোগী নয়, রোগীর পেছনে ডাক্তার” স্লোগান নিয়ে জেলার দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে মানুষকে গুণগত প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেবে এই ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল।

এরআগে, শনিবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ায় এ ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং করোনা সংকটে কক্সবাজার জেলার ত্রাণ কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয়ের সমন্বয়কারী হেলালুদ্দীন আহমেদ এর উদ্বোধন করেন।