মুুহিববুল্লাহ মুহিব, সিবিএন:

সাধারণ ক্রেতাদের সঠিক মূল্যে পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কক্সবাজারের বিভিন্ন বাজারের করোনা ভাইরাইসের এ সংকটও সক্রিয়ভাবে অভিযান করে যাচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কক্সবাজারের কর্মকর্তারা।

এসব অভিযান বেশীরভাগই রেস্টুরেন্ট, ফার্মেসী, ক্লিনিক বা সুপার শপসহ নানা প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হয়। মূলত ভোক্তাদের সঠিক মূল্য নিশ্চিত ও হয়রানী নির্মূলের উদ্দেশ্যে এমন অভিযান বলে জানান কর্মকর্তারা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয় সুত্রে জানাযায়, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কক্সবাজারের বিভিন্ন বাজার বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ২৭ টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে ৮৪ টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশীভাগই পণ্যের মূল্য তালিকা, পণ্য ক্রয় রশিদ না থাকা বা নিয়মের চেয়ে অধিক দামে পণ্য বিক্রিসহ নানান অভিযোগ ছিল।

তার মধ্য, ৩০ এপ্রিল কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল টাইম বাজার এলাকায় অভিযানে দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করা, অধিক দামে পণ্য বিক্রির দায়ে সুভাষ স্টোরকে ১৫ হাজার, মেসার্স অর্ক্য স্টোরকে ১০ হাজার, আমির স্টোরকে ৫ হাজার ও মোল্লাহ শাহ আলম স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

২৯ এপ্রিল কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে মূল্য তালিকা ও ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করায় এবং অধিক দামে পণ্য বিক্রির দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এভাবে ধারাবাহিকভাবে ২৭ টি অভিযান পরিচালনা করে আসছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কক্সবাজার।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন সিবিএনকে বলেন, জনগণের স্বার্থে পবিত্র রমজানে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে করোনার এ সংকটেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সাধারন মানুষের কাছ থেকে যেন অন্যায়ভাবে কোন দাম রাখা না হয় সে জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সিনিয়র কর্মকর্তাদের তদারকিতে এসব অভিযান পরিচালিত হয়। কোনভাবেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বা পণ্য মজুদ করে দাম বৃদ্ধি বিরুদ্ধে এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।