কামাল হোসেন, রামু :
রামুর কৃতিসন্তান সাবেক বিচারপতি মরহুম আমিরুল কবির চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৮ সালের এ দিনে তিনি ৭৮ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।

১৯৪০ সালের ২৩ জুন কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের নোনাছড়ি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম গোলাম কবির চৌধুরী এবং মাতার নাম গোলনুর বেগম চৌধুরী।

তিনি ১৯৫৫ সালে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক ও ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি এবং ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম আইন কলেজ থেকে যথাক্রমে বিএ ও এলএলবি উভয় ডিগ্রী অর্জন করেন।
আমিরুল কবির চৌধুরী কক্সবাজার জেলা থেকে ১৯৬২ সালে আইন পেশা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে তিনি হাই কোর্ট ও সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। বিচারপতি আমিরুল কবির চৌধুরী ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং ২০০৪ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে বিচারপতি চৌধুরী শ্রম ও আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এবং ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের নবগঠিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান পদে অভিষিক্ত হন।

বিচারপতি আমিরুল কবির চৌধুরী তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী, চট্টগ্রাম জেলার পিপি ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আমিরুল কবির চৌধুরী তাঁর বিনয়, উদারতা, নিরহংকার, সততা, ন্যায়পরায়ণতা দিয়ে নিজেকে সর্বজন শ্রদ্ধেয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। বৃহত্তম চট্টগ্রামের অনেক সামাজিক কাজের সঙ্গে নিজেকে রেখেছেন সম্পৃক্ত। জীবন চলার পথে অর্জন করেছেন অসংখ্য স্বীকৃতি ও পুরস্কার।

বিচারপতি আমিরুল কবির চৌধুরী রামু সমিতি, ঢাকার অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা। তাঁর উদ্যোগে ২০০০ সালে ঢাকাতে রামু সমিতির যাত্রা শুরু হয়। ঢাকাস্থ রামুবাসীদের পাশে থেকে সবসময় অনুপ্রেরণা যুগিয়ে চলেছেন তিনি। ঢাকাস্থ রামু সমিতি তাঁকে “রামু সমিতি সম্মাননা – ২০১৮ “ তে ভূষিত করে।

দীর্ঘদিন নিবীড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০১৮ সালের ১ মে সন্ধ্যা ৬.৩০ টায় তিনি ইন্তিকাল করেন।