নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিশ্বমহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে কক্সবাজারের অধিকাংশ শ্রমজীবী মানুষ নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। কর্মহীন সময় কাটাচ্ছে বাসাবাড়িতে। তাদের অন্ন জুগাড়ের কোন উপায় নেই। দৈনিক মজুরিতে পরিবার চালানো এই মানুষগুলো আজ দুঃস্বপ্নে ভাসছে। দিন যত যাচ্ছে তাদের দুঃখ-দুর্দশার পাল্লা ততোই ভারি হচ্ছে।

এরই মাঝে দোরগোড়ায় হাজির পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস। যে দিনটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের কথা বলার দিন।

সব মিলিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন -কক্সবাজার জেলা শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক।

তারা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে কক্সবাজার জেলা প্রায় একমাস লকডাউন অবস্থায় আছে। যে কারণে আবাসিক হোটেল, দোকান কর্মচারী, রেস্তোরাঁ, নির্মাণ শ্রমিকসহ বিভিন্ন স্তরের শ্রমিক সমাজ চরম অবহেলিত অবস্থায়। তাদের ক্ষুধার্থকান্না আমরা শুনতে পাচ্ছি। সাধ্যমত আমরা সাহায্য-সহযোগিতা করলেও তা যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ সহায়তা। যাদের শ্রমে গড়ে ওঠে দেশ, দালানকোঠা, সেসব শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর একান্ত প্রয়োজন।

এই মুহূর্তে জেলা প্রশাসনসহ দাতা সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তারা বলেন, শ্রম অধিকার সমুন্বত রাখার প্রত্যয়ে মহান মে দিবস সফল হোক।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলা শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত ১৭ টি শ্রমিক ইউনিয়ন রয়েছে।
সেগুলো হলো- কক্সবাজার জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন, কক্সবাজার আবাসিক হোটেল কর্মচারী ইউনিয়ন, কক্সবাজার দোকান কর্মচারী ইউনিয়ন, কক্সবাজার বরফকল শ্রমিক ইউনিয়ন, কক্সবাজার ওয়ার্কশপ শ্রমিক ইউনিয়ন, কক্সবাজার ইলেকট্রিক শ্রমিক ইউনিয়ন, কক্সবাজার জেলা প্যাথলজি শ্রমিক ইউনিয়ন, কক্সবাজার জেলা পেট্রোলপাম্প শ্রমিক ইউনিয়ন, কক্সবাজার জেলা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন, কক্সবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক দল ইউনিয়ন, কক্সবাজার সদর উপজেলা দোকান কর্মচারী লীগ ইউনিয়ন, কক্সবাজার সদর লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়ন, কক্সবাজার সদর ফ্লাওয়ার মিল শ্রমিক ইউনিয়ন, এস এম এন্টারপ্রাইজ শ্রমিক ইউনিয়ন, মিনহার শ্রমিক ইউনিয়ন বিসিক শিল্প নগরী, পৌর রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন ও কক্সবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক লীগ।

উল্লেখ্য, সংগঠনগুলো ট্রেড ইউনিয়ন তথা সরকারী রেজিস্ট্রার্ডভুক্ত।