বার্তা পরিবেশক:

করোনা ভাইরাসের কারণে এই লকডাউনের মাঝেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুক লাইভে এসে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে দেশের জনগণের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন। ল্লেখ্য, এই রমজান মাসেও তিনি এই সেবা চালিয়ে যাবেন রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতি বার রাত ১০টা থেক ১১.৩০ পর্যন্ত। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া লাইভ অনুষ্ঠানে তিনি তৈরি-পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার ব্যাপারে বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, আজকে আমাদেরকে যে জিনিসটি ভাবিয়ে তুলেছে সেটি হলো লকডাউন ভেঙ্গে শ্রমিকদেরকে যেভাবে কাজে নামিয়ে দিলো। এমনকি International Labour Organisation(ILO/আইএলও) থেকেও বিবৃতি দেওয়া হয়েছে যে বাংলাদেশে পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে এবং দ্বিতীয়বারের মতো দেশকে “সেকেন্ড ওয়েভ” করোনা ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আর এই জিনিসটিও আমাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে যে এতদিন পর্যন্ত লকডাউন করে আমাদের কি আদৌ লাভ হয়েছে কিনা। শ্রমিকদেরকে কাজে নামানোর ফলে দেশের কতটুকু ক্ষতি হলো অথবা কতটা ক্ষতি আমরা পুষিয়ে নিতে পারবো, সেটিরও একটি বিষয় সামনে চলে এসেছে।

এখানে অনেকে বলতে পারে অস্ট্রেলিয়ার সিডনী শহর সহ বিশ্বের কিছু জায়গায় লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে । কিন্তু ঐ দেশগুলোতে টেস্টের পরিমাণ ও আক্রান্তের পরিমাণের সাথে আমাদের অনেক ভিন্নতা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়াতে ইতিমধ্যে তাদের মোট জনসংখ্যার ১% এর বেশি করোনা ভাইরাসের টেস্ট করা হয়েছে যার পরিমাণ হলো দুই লক্ষ ষাট হাজারেরও বেশি। সেখানে আমাদের দেশে মাত্র দৈনিক তিন থেকে চার হাজার টেস্ট করা হচ্ছে মাত্র। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ মালদ্বীপ কিংবা শ্রীলঙ্কাতে প্রতি ১০ লাখ মানুষের বিপরীতে করোনা ভাইরাসের টেস্ট করা হচ্ছে ১০-১১ হাজার। আর আমাদের দেশে করা হচ্ছে মাত্র ২০০ জন।কাজেই আমরা যতবেশি পরিমাণ করোনার টেস্ট করাতে পারবো আমরা ততো লকডাউন
খোলার দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।

আমরা জীবন আর জীবিকার মধ্যে কোনটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেটা প্রায়রোটাইজ করতে গিয়ে জীবনকে বাদ দিয়ে আমরা জীবিকাকে বেছে নিলাম। জীবন থাকলে জীবিকার ব্যবস্থা হবে। জীবন না থাকলে জীবিকা দিয়ে করবো কি? এজন্য সরকারের কিছু পরিকল্পনা থাকা উচিত ছিল বলে মনে করি।