জাহাঙ্গীর আলম শামস:

কক্সবাজার সদরের হাট বাজারগুলোতে লকডাউন মানা হচ্ছে না। সবকিছু চলছে আগের মতোই। সামাজিক দূরত্বও মানছে না কেউ। বুধবার উপজেলার সাপ্তাহিক খরুলিয়া হাট লেগেছে আগের মতোই। হাটে সকাল থেকে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও চায়ের স্টল বাদে সব দোকানপাট খোলা ছিল। ফুটপাতেও বসছে হরেক রকমের মৌসুমী ফলের দোকান, ইফতারের সারি সারি দোকান।

করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কক্সবাজার-চট্রগ্রাম সড়কের পাশে হাট বসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও সেখানেও কেউ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না।

সরজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলাধীন পিএমখালী চেরাংঘাট বাজারে উপচেপড়া ভীড়। একই অবস্থা খরুলিয়া বাংলাবাজারে। নেই কোন প্রশাসনের নজরদারি।

অপরিষ্কার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে কেনা বেঁচা। জনসাধারণের চলাচলে নেই নিয়ন্ত্রণ। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে ইজি বাইক চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেকের মুখে মাস্ক নেই বলেই চলে।ইতিমধো সদরের বৃহত্তর ইদগাঁও বাজারটিকে খোলা মাঠে নেওয়ার সিদান্ত নেওয়া হয়েছে উপজেলা প্রসাশন থেকে।

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ উল্লাহ মারুফ সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিরার মোক্তাদির প্রতিদিনই অভিযান চালাচ্ছেন বিভিন্ন বাজার ও দোকানে। সরকারের নির্দেশনা মানা না হলে করা হচ্ছে জেল–জরিমানা। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশের পাহারা। তাপরেও মানছে না কেউ। সবাই যার মত ঘরে থেকে বেরিয়ে এসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ উল্লাহ মারুফ বলেন, প্রতিদিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ মাইকিং করে সামাজিক দূরত্ব বাজিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সস্পাদনের বিষয়ে গণসচেতনা করা হচ্ছে।

তিনি

আরো বলেন, আমরা সরকারের সকল নির্দেশনা পালনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু জনগণ তাদের নিজেদের ভালো বুঝতে পারছেন না। জনগণ সচেতন হলেই সম্ভব করোনা ভাইরাসকে মোকাবেলা করা।