মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে করোনা ভাইরাস জীবাণু সনাক্ত করার জন্য আরো একটি পিসিআর (পলিমারি চেইন রি-এ্যাকশন) ল্যাব মেশিন স্থাপন করা হবে। আগামী ১২/১৩ মে’রে মধ্যে অত্যাধুনিক পিসিআর মেশিনটি কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে পৌঁছানো হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের অংগ প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইসও) সহায়তায় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয় পিসিআর মেশিনটি স্থাপন করা হবে।

কক্সবাজারে করোনা স্যাম্পল টেস্টের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র সিবিএন-কে এ তথ্য জানিয়েছেন। সুত্র আরো জানায়, আগামী ১৩ মে’র মধ্যে পিসিআর মেশিনটি কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে চল আসলে পরবর্তী ৪/৫ দিনের মধ্যে সেটি স্থাপন করা সম্ভব হবে। ১৮ ও ১৯ মে ২ দিন মান নির্নয়মূলক স্যাম্পল টেস্ট করে ২০ মে থেকে পুরোদমে চুড়ান্ত স্যাম্পল টেস্টে যাওয়া যাবে। দ্বিতীয় পিসিআর মেশিনটি চালানোর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইসও) চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান, ল্যাব কর্মী সহ প্রয়োজনীয় জনবলও সংস্থানের ব্যবস্থা করছে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে আরো একটি পিসিআর মেশিনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইসও) কে আরো একটি পিসিআর মেশিনের সরবরাহ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালে ডাব্লিউএইসও এতে সম্মত হয়ে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয় পিসিআর মেশিনটি প্রদান করছে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয় পিসিআর মেশিনটি চালু হলে ২টি মেশিনে একদিনে শুধু এক শিফটে একত্রে ১৯২ টি স্যাম্পল টেস্ট করা যাবে। আর ২ শিফটে প্রতিদিন ৩৮৪ জনের স্যাম্পল টেস্ট করা যাবে বলে পিসিআর ল্যাব পরিচালনায় অভিজ্ঞ একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন।

কক্সবাজার জেলার প্রায় ২৪ লক্ষ নাগরিক, প্রায় ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা শরনার্থী এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দেড় লক্ষাধিক নাগরিক সহ মোট প্রায় সাড়ে ৩৭ লক্ষ নাগরিকের জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবটিতে স্যাম্পল টেস্টের কাজ চলছে। এই ল্যাবটি ঢাকার আইইডিসিআর এর তত্বাবধানে পরিচালিত হয়।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের বর্তমানে চালু থাকা পিসিআর ল্যাবটি রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ডিপথেরিয়া রোগ নির্ণয়ের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইসও) এর অর্থ সহয়াতায় ২০১৮ সালে স্থাপন করা হয়েছিলো।