কালেরকন্ঠ : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) বিশ্বের কোনো দেশেই করোনাভাইরাস পরীক্ষায় উদ্ভাবিত র‌্যাপিড কিট অনুমোদন দেয়নি বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিট সরকার গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২ টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্বের কোনো দেশেই করোনাভাইরাস পরীক্ষায় উদ্ভাবিত র‌্যাপিট কিট অনুমোদন দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কারণেই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট গ্রহণ করেনি সরকার।

গত শনিবার গণস্বাস্থ্যের কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে না যাওয়া প্রসঙ্গে মাহবুবুর রহমান বলেন,গাইডলাইন না মেনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গণস্বাস্থ্য। যে কোনো আবিষ্কারের বিষয়টি পরীক্ষা শেষেই যথাযথ অনুমোদন নিতে হয়। সেটি না করেই হন্তান্তর অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এ কারণে ওই অনুষ্ঠানে যাওয়া হয়নি। তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্যের হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি মূল কিটের ছিল না। সেটি ছিল পরীক্ষামূলক কিটের হস্তান্তর। কিট তৈরির পুরো প্রক্রিয়া শেষেই হস্তান্তরের অনুরোধ করা হয়েছিল।

ঘুষ প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অভিযোগের জবাবে মাহবুবুর রহমান বলেন, ড. জাফরুল্লাহ’র বক্তব্য আপত্তিকর। অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন তিনি।

গত কয়েক দিন ধরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল উদ্ভাবিত করোনা শনাক্ত কিট নিয়ে বিতর্ক চলছে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মধ্যে। গণস্বাস্থ্যের ওই কিট গ্রহণ করেনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের দায়ী করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।