মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

রোববার ২৬ এপ্রিল করোনা রোগী সনাক্ত হওয়া মহিলা চিকিৎসক ডা. নাঈমা সিফাত (২৮) এর মতামতের উপর নির্ভর করেই তাঁর করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি যদি কক্সবাজার, ঢাকা বা অন্য কোথাও চিকিৎসা নিতে চান অথবা নিজে সেল্ফ আইসোলেসন থেকে চিকিৎসা নিতে চান, তার জন্য সেটাই ব্যবস্থা করা হবে। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মাহবুবুর রহমান সিবিএন-কে এ তথ্য জানান।

করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক ডা. নাঈমা সিফাত এর মতামত জানতে সিভিল সার্জন নিজেই বিকেল পৌনে ৪ টার টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন।

টেকনাফের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়মিত মহিলা চিকিৎসক ডা. নাঈমা সিফাত (২৮) এর স্বামী একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। তাদের একটা শিশু কন্যা সন্তান রয়েছে। ডা. নাঈমা সিফাত চট্টগ্রাম শহরের পাচলাইশের বাসিন্দা। তিনি টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত জরুরি বিভাগ, আউটডোর, ভর্তিকৃত রোগী সহ হাসপাতালে সব জায়গায় রোগী দেখতেন।

গত ২৪ জানুয়ারি টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৯ জন চিকিৎসক, ১৬ জন নার্স, ২৮ জন কর্মচারী সহ মোট ৫৩ জনের স্যাম্পল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে টেস্টের জন্য পাঠানো হলে ২৬ এপ্রিল ডা. নাঈমা সিফাত এর টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম কক্সবাজার জেলায় একজন চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলো। রোববার পর্যন্ত কক্সবাজারে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট ১৫ জন। তারমধ্যে মহেশখালীতে ৮ জন, টেকনাফে ৪ জন, সদর উপজেলায় ২ জন এবং চকরিয়াতে একজন।

রোববার স্যাম্পল টেস্টের বাকী ৭০ জনের সব রিপোর্টই ‘নেগেটিভ’ পাওয়া গেছে।

গত ২৫ দিনে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৮০৪ জনের স্যাম্পল টেস্ট করা হলো। তারমধ্যে ১৫ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়। বাকী ৭৮৯ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া যায়।