শাহেদ মিজান, সিবিএন:

প্রকট করোনা সংক্রণের প্রেক্ষিতে মহেশখালীর সব পানের বাজার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ শনিবার মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত করোনা সংক্রমণ রোধ সংক্রান্ত এক সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলমাম। উক্ত সভায় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় মহেশখালীতে প্রবল করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এই সংক্রমণের কারণে এবং তা রোধে করণীয় সম্পর্কে সবার মতামত তুলে ধরা হয়। আক্রান্তদের হিস্ট্রি মতে, মহেশখালীতে করোনা সংক্রমণের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বাইরে যাতায়াত করা পান ব্যবসায়ীরা। তারা বাইর থেকে আবারো বাজারে গিয়ে পান কিনতে বহু মানুষের সংস্পর্শে আসে। তাই করোনা সংক্রমণ আরো ছড়ানোর প্রধান উপলক্ষ হিসেবে পানবাজারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই উপজেলা প্রশাসন মহেশখালীর সব পানবাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছে।

অন্যদিকে পান পচনশীল পণ্য হওয়ায় পান বিক্রি বন্ধ রাখা যাবে না। তাই বাজার বন্ধ থাকলেও পান বিক্রির বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। এই ব্যবস্থাটি হলো, প্রশাসনই সরাসরি পান বিক্রি করবে। প্রতিটি পানচাষীর তালিকা তৈরি প্রশাসন পান সংগ্রহ করবে। সংগৃহিত পানগুলো সম্পূর্ণ প্রশাসনের উদ্যোগে বিক্রি করা হবে। চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য এলাকার পানের আড়তগুলো এবং ব্যবসায়ীদের সাথে সরাসরি এবং অনলাইনে যোগাযোগ করে নিরাপদ ব্যবস্থায় এসব পান রপ্তানি করা হবে।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলমাম বলেন, প্রতিটির চাষীর সাথে যোগাযোগ করে পান সংগ্রহ করা হবে। চাষীরা পানগুলো সাজিয়ে এলাকা ভিত্তিক নির্দিষ্ট জায়গায় রাখবে। সেখান থেকে নির্দিষ্ট লোকজন দিয়ে প্রশাসনের সরবরাহ করা গাড়ি দিয়ে বোঝাই করা হবে। পরে পানবোঝাই গাড়িগুলো জেলার সীমান্ত এলাকায় গিয়ে রপ্তানিকারকদের লোকজনকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। পরে বিক্রিত পানের টাকা বিকাশসহ অন্যান্য সহজ মাধ্যমে পান ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো হবে।

সভায় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, করোনা মহেশখালী যেভাবে আক্রমণ করেছে তা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি পদক্ষেপ যথাযথভাবে নিতে হবে। করোনা সংক্রমণ যেন আর না ঘটতে পারে তার জন্য একদম ছোট বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। প্রশাসন সেভাবে কাজ করবে; জনগণকেও নিজ নিজ উদ্যোগে করণীয় বাস্তবায়ন এবং সচেতন হতে হবে।