মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

শুক্রবার ২৪ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২ শিফটে ১০১ জনের স্যাম্পল টেস্ট করা হয়েছে। তারমধ্যে সকালের শিফটে ৭২ জনের মধ্যে ২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ , বিকেলের শিফটে ২৯ জনের মধ্যে ৫ জনের রিপোর্ট পজেটিভ। এনিয়ে একদিনে মোট ৭ জনের রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়।

বিকেলের পজেটিভ পাওয়া ৫ জন রোগীর সকলেই মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা। সকালের একজন টেকনাফের, অপরজন কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছরার বাসিন্দা। এ নিয়ে কক্সবাজারে মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ তে উন্নীত হলো।

বিষয়টি কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার ২৪ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে সকালের শিফটে পজেটিভ পাওয়া রোগীর একজন কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছরা আবু বকর ছিদ্দিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সন্নিকটে আবু ছৈয়দ এর পুত্র শাহ আলম। অপরজন টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছরার তুলাতলী গ্রামের নুরুল আলম (২২)। এ ২ জনকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের আইসোলেসন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

বিকেলের শিফটে পজেটিভ পাওয়া রোগীরা হলো-মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছরা ইউনিয়নের চাইল্ল্যাতলীর মোহাম্মদ রিয়াদ (৩৪), নয়াপাড়ার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৩৫), বড়ুয়া পাড়ার অঞ্জলি বড়ুয়া (৩৫), উত্তর নলবিলার হোসাইন সাব্বির (৩০) এবং হোয়ানক ইউনিয়নের ডেইল্ল্যা ঘোনার হেলাল উদ্দিন (২৮)।

গত ২ এপ্রিল শুরু হওয়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৪ এপ্রিল থেকে ২ শিফটে স্যাম্পল টেস্ট শুরু করা হয়েছে। এর আগে এক শিফটে স্যাম্পল টেস্ট করা হতো। শুক্রবার ২ এপ্রিলই একদিনে সবচেয়ে বেশী ১০১ জনের স্যাম্পল টেস্ট করা হয়। এপর্যন্ত স্যাম্পল টেস্ট করা ৭১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনের রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়া যায়। তারমধ্যে আবু ছিদ্দিক নামক একজন করোনা রোগীর বাড়ি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টে।

কক্সবাজারের প্রথম করোনা রোগী মুসলিমা খাতুনের স্যাম্পল টেস্ট করা হয়েছিলো ঢাকার আইইডিসিআর ল্যাবে। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছেন।