মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজারে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে ভয়াবহ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। জেলায় হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। শুক্রবার ২৪ এপ্রিল পজেটিভ পাওয়া টেকনাফ ও কক্সবাজার শহরের ২ জন রোগী সহ জেলায় এখন করোনা রোগীর সংখ্যা মোট ৯ জন। এদের একজন সৌদি আরব ফেরত। বাকী ৮ জনের সকলেই ‘করোনা রেড জোন’ এলাকা ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে কক্সবাজার জেলা লকডাউন (Lockdown) চলাবস্থায় এসেছে।

তারমধ্যে, শুক্রবার ২৪ এপ্রিল স্যাম্পল টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ আসা কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছরার আবু বকর ছিদ্দিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সন্নিকটে আবু ছৈয়দের পুত্র শাহ আলম (৪৩) নারায়ণগঞ্জ থেকে গত ২০ এপ্রিল কক্সবাজার এসেছে। গত ২২ এপ্রিল শহরের টেকপাড়ায় করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়া আবুল কালামের সাথে একই গাড়িতে করে নারায়নগঞ্জ থেকে আসে। সে নারায়ণগঞ্জে শ্রমিকের চাকুরী করে। এলাকার লোকজন তাকে বাধ্য করে জেলা সদর হাসপাতালে নিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার দেহের স্যাম্পল টেস্ট করতে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠায়। টেস্টে শুক্রবার শাহ আলমের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।

শুক্রবার ২৪ এপ্রিল স্যাম্পল টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ আসা অপর রোগী নুরুল আলম (২২)। তার বাড়ি টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিটাপানির ছরা। নুরুল আলমও গত এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এসেছে বলে জানিয়েছেন, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল।

টেকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রোডের নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা মৃত এজাহার আহমদের পুত্র আবুল কালাম (৫৫) এর দেহে গত বুধবার ২৪ মার্চ করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়ে।

গত ২৩ এপ্রিল করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়ে হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়নের খারাইঙ্গাঘোনা তাবলীগ ফেরত মোহাম্মদ ইদ্রিস (৪২) এর শরীরে।

কক্সবাজার জেলার প্রথম করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়া মুসলিমা খাতুন (৭৮) সুস্থ হয়ে হত ৮ এপ্রিল চকরিয়ার খুটাখালী নিজ বাড়িতে ফিরেছেন।

অন্য ৪ জন হলেন, মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের-মুকবেকী এলাকার মোঃ বশিরের পুত্র গার্মেন্টস কর্মী মোঃ রায়হান (২৪) এবং অপরজন মুরুং ঘোনা এলাকার আবদুল খালেকের পুত্র আবু হানিফ (১৭), সে ছাত্র। এছাড়া একই উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মিয়াজি পাড়ার হালিমা সাদিয়া (২৫), সে গৃহবধু। আর একজন হলো টেকনাফের বাহারছরা ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের মারিশবনিয়া গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর পুত্র মো: হোছাইন। তার সকলেই ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ ফেরত। এ ৪ জনের শরীরে গত ১৮ এপ্রিল করোনা ভাইরাস জীবাণু সনাক্ত করা হয়।

এ ৯ জন করোনা ভাইরাস জীবাণু আক্রান্ত রোগীর মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভায় ২ জন, মহেশখালী উপজেলায় ৩ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৩ জন ও চকরিয়া উপজেলায় ১ জন রোগী রয়েছে।