তানভিরুল মিরাজ রিপন:

বেটার ফিউচার বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত, একঝাঁক সম্ভাবনাময় তরুণ সম্প্রদায় নিয়ে গঠিত একটি অলাভজনক সামাজিক সংগঠন। তিন বছর পূর্বে সমাজের প্রতি যুব সম্প্রদায়ের দায়িত্ব এবং সমাজ বিনির্মাণের কারিগর হিসেবে যুব সমাজের কর্তব্যের কথা মাথায় রেখেই এই সংগঠন পথ চলা শুরু করে। ‌ সমাজের সুবিধা বঞ্চিত নিম্নবিত্ত পথশিশু এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে আমরা কাজ করি। সমৃদ্ধ জাতি গঠনে এবং সমাজ সংস্কারে তরুণ সম্প্রদায়কে নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা মতো প্রয়োজনীয় গুণাবলী সৃষ্টি করাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
আমরা, “বেটার ফিউচার বাংলাদেশ” ভবিষ্যতে এক বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, যেখানে এই সমাজের সকল স্তরের মানুষ সমান সুযোগ ও অধিকার নিয়ে জীবন যাপন করবে এবং এ স্বপ্ন ত্বরান্বিত করার প্রয়াসে আমাদের পথচলা।

বেটার ফিউচার বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত তরুণরা দেশ জুড়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের সেবামূলক কার্যক্রম। করোনার এই মহামারীর মাঝেও দেশের অনেক জেলায় অসহায়, দুস্থ ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পাশে থাকার অঙ্গীকার পূরণ করছে তারা। একটি দুর্যোগ জয় করার জন্য সবার কাজের সমন্বয় খুব প্রয়োজন। সাধারণ মানুষদের হতে হবে সচেতন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান করেছেন তরুণ প্রজন্মও যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে, উনার আহ্বানকে আজ্ঞাবহ করে বেটার ফিউচার বাংলাদেশ অনেক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শুরু থেকেই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঝিনাইদহ এবং ঢাকা জেলায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছে বেটার ফিউচার বাংলাদেশ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা, গুরুত্বপূর্ণ সকল সড়কে চলমান যানবাহনে জীবাণুনাশক স্প্রে করে যাচ্ছে। ১মিটার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সকল ফার্মেসি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানে এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ত্রাণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে রঙ দিয়ে ‘সুরক্ষা রেখা’ অঙ্কন করে দিয়েছে।

এছাড়াও লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের মধ্যে নিয়মিত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার রামু ও ঈদগাহ সহ বিভিন্ন গ্রামে দুইশতাধিক পরিবারের মধ্যে তারা তাদের উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে এবং বেটার ফিউচার বাংলাদেশ ঢাকা শাখা সত্তরটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেন।
ঝিনাইদহ জেলা শাখার সদস্যরা পবিত্র রমজান মাসে পঞ্চাশটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে সেহরি ও ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে।
চট্টগ্রাম বোয়ালখালী উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝেও উপহার পৌঁছে দেওয়া হয় এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

এছাড়াও চট্টগ্রামে সদ্য নির্মিত করোনা বিশেষায়িত চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে তিন সদস্যের স্বেচ্ছাসেবী দল পাঠিয়ে অনন্য সাহসিকতার স্বাক্ষর রেখেছে বেটার ফিউচার বাংলাদেশ। গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড.বিদ্যুৎ বড়ুয়ার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক দলকে, সে দলে কাজ করে যাচ্ছে বেটার ফিউচার বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকরা। জীবন ও পরিবারের টান উপেক্ষা করে কাজ করে যাওয়ার সাহসিকতার পরিচয় দেয়া তরুণদের অভিবাদন।