সালাহ্ উদ্দিন জাসেদ :

পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়া এক কৃষকের ফোন পেয়ে ধান কেটে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশে এক নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি। সংক্রমণ প্রতি রোধ ও ঝুঁকি এড়াতে দেশের বিভিন্ন জেলা লকডাউন করা হয়েছে।

এই মৌসুমি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে শ্রমিক সংকটে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছে না কৃষকরা। ফলে তাদের চরম ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

কৃষকদের এই সমস্যা নিরসণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় অনুসারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিটকে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

কক্সবাজার সদর উপজেলার পি এম খালি ইউনিয়ন ছনখোলা গ্রামের দরিদ্র কৃষক আব্দুল হাই। তার ২ (দুই) বিগা জমিতে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু দেশের করোনা পরিস্থিতির কারণে শ্রমিক সংকটে ধান কেটে ঘরে তুলতে না পারায় ধান পেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। কৃষক এ বিষয়ে ছাত্রলীগের একজন কর্মীকে ফোন করে জানান।

তার এই সমস্যার কথা জানতে পেরে ২২ এপ্রিল,২০২০ (বুধবার) তার জমিতে কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাইছারুল আলম মুন্না চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রায় ২৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী উপস্থিত হয়। তারা আব্দুল হাই এর ধান কেটে বাড়ী পৌছে দেন।

এবিষয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাইছারুল আলম মুন্না চৌধুরী বলেন,”মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিটকে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া নির্দেশ দেন। পিএম খালি ইউনিয়নের দরিদ্র কৃষক আব্দুল হাই তার ২ (দুই) বিগা জমির ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছিলেন না। বুধবার সকালে তিনি ছাত্রলীগের একজন কর্মীকে মাঠে পাকা ধান পড়ে আছে কিন্তু কোনো শ্রমিক পাচ্ছেন না বলে জানান।ওই কৃষকের সমস্যার কথা শুনে আমি সহ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের ২৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে ওই কৃষকের পাকা ধানের মাঠে যায়। পরে আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাঠের পাকা ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসি।

এবিষয়ে পিএম খালি ইউনিয়ন ছনখোলা গ্রামের দরিদ্র কৃষক আব্দুল হাই বলেন, এবার বোরো মৌসুমে আমার জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে ধান কাটার জন্য কোনো শ্রমিক পাচ্ছিলাম না। মাঠে পাকা ধানগুলো নষ্ট হওয়ার পথে। ধান নিয়ে বিপদে আছি শুনে কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাইছারুল আলম মুন্না চৌধুরী ছাত্রলীগের ছেলেদের নিয়ে এসে আমার ২ (দুই) বিগা জমির ধান কেটে বাড়ি পর্যন্ত দিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ যদি ধান কেটে না দিত তাহলে এ ধানগুলো মাঠেই নষ্ট হয়ে যেত। আমি চরম ক্ষতির মুখে পরতাম। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার মতো গরীব কৃষকের পাশে দাড়ানোর জন্য।