নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে যা বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নিয়েছে। করোনা মোকাবেলাকে একটি যুদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যেক সেনাসদস্যকে এ যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান।

কক্সবাজার জেলা ও চট্টগ্রাম জেলার ০৪ টি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের জন্য গত ২৪ মার্চ ২০২০ তারিখ হতে নিয়োজিত রয়েছেন ১০ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যগণ। ইতোমধ্যে গত ০৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে কক্সবাজার জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করা হয়। লকডাউনের পর থেকে সেনাসদস্যদের কার্যক্রম আরও বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেনাসদস্যরা জেলার প্রবেশ পথে বিভিন্ন অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জেলায় জরুরী মালামাল পরিবহনকারী যানবাহন জীবাণুমুক্তকরনের লক্ষ্যে চকরিয়া উপজেলার প্রবেশদ্বারে সেনাবাহিনীর উদ্ভাবনী উপায়ে প্রস্তুতকৃত বিশেষায়িত একটি বুথ নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২১ এপ্রিল ২০২০ তারিখে উক্ত বুথের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ উদ্ধর্তন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ।

এছাড়াও কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে সেনাসদস্যদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন। পরিদর্শনের সময় তিনি দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাসদস্যদের নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রশংসা করেন এবং কঠিন এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনগণকে আশ্বস্থ করা ও দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য টহলরত সেনাসদস্যদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের জন্য নির্ধারিত রেশনসামগ্রীর একাংশ বাঁচিয়ে খেটে খাওয়া, হতদরিদ্র, কর্মহীন মানুষের মাঝে বিতরণ কার্যক্রম করা হয়েছে। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ও আটা। লকডাউন পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি মানুষের সংকট দূর করতেই সেনাবাহিনীর এই প্রচেষ্টা। খাদ্য সহায়তায় অনেকটা স্বস্তি পেয়ে দুঃশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার কথা জানান অসহায় হত দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষেরা।