মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

মাত্র ৫০০ জন বন্দীর ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন কক্সবাজার জেলা কারাগারে মঙ্গলবার ২১ এপ্রিল ৪৪৩৫ জন বন্দী রয়েছে। যার মধ্যে ২৬০ জন মহিলা বন্দী। যে সংখ্যা কক্সবাজার জেলা কারাগারে সর্বোচ্চ বন্দীর থাকার রেকর্ড। প্রায় ৯ গুন বেশী বন্দী নিয়ে করোনা ভাইরাস (COVID-19) জনিত এ মহা দুর্যোগকালে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় একটু সংকটে আছেন বলে জানান কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মোঃ মোকাম্মেল হোসেন।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসজনিত (COVID-19) সংকটে দেশের সকল আদালত প্রায় একমাস ধরে বন্ধ থাকায় কোন বন্দী গত প্রায় একমাসে জামিনে মুক্তি পায়নি। বরং প্রতিদিন ৫/৬ জন করে বন্দী কক্সবাজার জেলা কারাগারে আসছে। ফলে বন্দীর এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্বাবধায়ক মোঃ মোকাম্মেল হোসেন সিবিএন-কে জানান, করোনা ভাইরাসজনিত (COVID-19) সংকটে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে ২৯৭ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তাব কারা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী সরকারের নির্বাহী আদেশ অথবা আদালতের বিচারকের মাধ্যমে জামিন দিয়ে তাদের সাময়িক ভাবে কারামুক্ত করা হবে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত কক্সবাজার জেলা কারাগারে আসেনি।

জেল সুপার মোঃ মোকাম্মেল হোসেন সিবিএন-কে আরো বলেন, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা তরুণীর দেহের স্যাম্পল টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ পাওয়া গেছে। ২১ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ থেকে তার রিপোর্ট পাওয়া যায়।

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বাসিন্দা এ তরুণীর নাম তাহমিনা আক্তার কাজল (১৮)। সে এইচএসসি পরীক্ষার্থীনী। এই তরুণী গত ১৭ এপ্রিল কক্সবাজারে পুলিশের হাতে ধৃত হন। কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ এই তরুণীকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছিলো। তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেছে পুলিশ।

কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে গত সোমবার ২০ এপ্রিল বিকাল ৫টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেসন ইউনিটে তাকে বিপর্যস্ত ও অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করানো হয়। পরে তার শরীরে করোনা ভাইরাস জীবাণু আছে কিনা, তা নিশ্চিত হতে তার দেহের স্যাম্পল সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে পিসিআর ল্যাবে টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছিলো। এই তরুণী ছাড়া কক্সবাজার জেলা কারাগারের আর কোন বন্দীর স্যাম্পল টেস্ট করা হয়নি বলে জেল সুপার মোঃ মোকাম্মেল হোসেন জানান।